JU: যাদবপুরের নিহত ছাত্রের বয়স উল্লেখ অভিযোগপত্রে, তারপরও কেন পকসো ধারা যুক্ত করল না পুলিশ?

JU: ১০ তারিখ কলকাতা পুলিশ যাদবপুরের নিহত ছাত্রের বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ নিয়ে আসে। মৃতের বাবার বয়ানের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্তও শুরু করে। কিন্তু বাবার অভিযোগে স্পষ্ট ছেলের বয়স উল্লেখ থাকলেও তা কলকাতা পুলিশের নজর এড়িয়ে যায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

JU: যাদবপুরের নিহত ছাত্রের বয়স উল্লেখ অভিযোগপত্রে, তারপরও কেন পকসো ধারা যুক্ত করল না পুলিশ?
প্রতীকী চিত্র। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2023 | 7:34 PM

কলকাতা: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এবার পকসো আইনের ধারা যুক্ত করতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। যেহেতু নিহত ছাত্রের বয়স ১৮ বছরের নীচে তাই এই আইনের ধারা যুক্ত করা হচ্ছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, কলকাতা পুলিশের কেন এতটা সময় লেগে গেল এই ধারা যুক্ত করতে? যাদবপুরের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রের হস্টেল থেকে পড়ে মৃত্যুর পরই তাঁর বাবা খুনের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। আর সেখানে ছেলের বয়সও স্পষ্ট উল্লেখ করেছিলেন। ১৮ বছরের নীচে ছেলের বয়স, সেই অভিযোগপত্রে স্পষ্ট লেখা ছিল। তারপরও কেন পুলিশের তা নজরে এল না?

১০ তারিখ কলকাতা পুলিশ যাদবপুরের নিহত ছাত্রের বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ নিয়ে আসে। মৃতের বাবার বয়ানের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্তও শুরু করে। কিন্তু বাবার অভিযোগে স্পষ্ট ছেলের বয়স উল্লেখ থাকলেও তা কলকাতা পুলিশের নজর এড়িয়ে যায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। রবিবার ১৩ অগস্ট সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে ফোন যেতেই তৎপর হয় কলকাতা পুলিশ। জানানো হয় পকসো অ্যাক্ট যোগ করা হবে। এত বড় ঘটনায় পুলিশের নজর এড়িয়ে গেলে তা কী করে গেল, সে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক।

কোনও মামলায় পকসো আইন ঢুকে পড়া মানে সেই ঘটনায় প্রথমেই পরিচয় গোপনের বিষয় আসে। নিহত, আক্রান্ত বা হিংসার শিকার যে, সে নাবালক বা নাবালিকা হলেই পরিচয় নাম, ছবি প্রকাশ্যে আনার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ থাকে। একইসঙ্গে তাঁর পরিবারের লোকজনের পরিচয় সামনে আনার ক্ষেত্রেও থাকে আইনি বাধ্যবাধকতা।

সূত্রের খবর, শনিবার শিশু সুরক্ষা কমিশন এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশ ও রাজ্যপালকে চিঠি দেওয়ার পর এই পকসো আইনের বিষয়টি সামনে আসে। পকসো আইন যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে তদন্তকারী অফিসারকে আদালতে গিয়ে মামলার স্টেটাস রিপোর্ট দিয়ে আবেদন করতে হয়, এই ধারাগুলি যুক্ত করা হোক। তার কারণও উল্লেখ থাকে রিপোর্টে। এক্ষেত্রেও তেমনটাই করতে হবে কলকাতা পুলিশকে।

যদিও ইতিমধ্যেই ওই ছাত্রের বাবা সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, “আমাদের বুকের মধ্যে থেকে যে হারিয়ে গিয়েছে তার ওই ১৭-১৮ বয়স, তার নাম উঠে আসা আমার কাছে আর ভ্যারি করে না। আমার তরফে কোনও বাধা নিষেধ আমি দিতে চাই না। আমার তরফ থেকে আমি ডিক্লিয়ারেশন দিতে পারি আমার ছেলের নাম কোথাও ব্যবহার করা হলে, আমার নাম ব্যবহার করা হলে আমার তরফে কোনও আপত্তি নেই।”