JU: ঠেলে ফেলে দেওয়া হতে পারে যাদবপুরের ছাত্রকে, শিশু সুরক্ষা কমিশনের বক্তব্যে তেমনই সম্ভাবনার কথা
WBCPCR: এদিন শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তো কিছু বলা যায় না। আমার তো মনে হল অত দূরে ছেলেটা কী করে পড়ল?
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের ছাত্রের মৃত্য়ুর পর থেকেই একের পর এক রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। শিশু সুরক্ষা কমিশনও ময়দানে নেমেছে। রবিবার সকালে নদিয়ায় নিহত পড়ুয়ার বাড়িতে যান শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। বিকেলে যাদবপুরে ওই হস্টেল পরিদর্শনে যান। সেখানেই ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তাঁরা। কেউ ধাক্কা মেরে ওই ছাত্রকে ফেলে দিতে পারে বলেও সন্দেহ তাঁদের। বিএ প্রথম বর্ষের নিহত ওই ছাত্র যাদবপুর মেন হস্টেলের যে রুমে থাকতেন এদিন সেই ঘরে যান শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় ও কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে এক আইনি উপদেষ্টাও ছিলেন। পাশাপাশি হস্টেল সুপারের রুম খুলিয়ে ভিতরে ঢোকেন। সুপারকেও ডেকে পাঠানো হয়।
এদিন শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তো কিছু বলা যায় না। আমার তো মনে হল অত দূরে ছেলেটা কী করে পড়ল? বারান্দা থেকে বেশ খানিকটা দূরে পড়েছে। কী করে পড়ল?” গত বুধবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে যান নদিয়ার বগুলার ওই ছাত্র। পরদিন ভোরে মারা যান হাসপাতালে। এই মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম থেকেই র্যাগিংয়ের অভিযোগ জোরাল হয়েছে।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে বর্তমান কিংবা প্রাক্তনী প্রকাশ্যে মুখও খুলেছেন। ‘ইন্ট্রো’ নেওয়ার নামে নতুন পড়ুয়াদের উপর কীভাবে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয় তার বর্ণনাও দিয়েছেন কেউ কেউ। আর তা চালান হস্টেলের ‘দাদা’রা। সঙ্গে থাকেন প্রাক্তনীদের কেউ কেউ। মূলত একটি চক্র এই নৃশংস ঘৃণ্য অপরাধ সংগঠিত করে থাকে বলেই অভিযোগে সরব হচ্ছেন ছাত্ররা। তাঁরা বলছেন, বিএ প্রথম বর্ষের ওই ছাত্র প্রাণ দিয়ে নোংরা এই সত্যিটা সামনে আনলেন।