Justice Abhijit Ganguly: ডাক্তারি পড়ুয়াদের ভর্তির ক্ষেত্রেও দুর্নীতি, এবার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি মামলার তদন্তে CBI
Justice Abhijit Ganguly: বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই মামলাটি চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে আবার যেতে পারে। তাই রাজ্যের কাছে আমি আশা করব এখনও পর্যন্ত সিবিআই তদন্ত আটকাতে কত টাকা খরচ করা হয়েছে তা তারা জানাবে।
কলকাতা: রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ভর্তি নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে, তার তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওই ঘটনায় আর্থিক দুর্নীতি হয়ে থাকলে তাও সামনে আসা দরকার। যদিও এদিনের শুনানিতে সিবিআই তদন্তে আপত্তি জানায় রাজ্য। রাজ্যের এজি আদালতের সামনে কিছু তথ্য তুলে ধরেন। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, ওই তথ্যগুলি যাতে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয় রাজ্য।
মামলাকারীর আইনজীবীকে বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, অবিলম্বে এই মামলায় সিবিআইকে যুক্ত করতে হবে। বিচারপতি জানান, এই নির্দেশনামা দুপুর আড়াইটার মধ্যে সিবিআইকে দিতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে।
রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, শাহজাহানকে আপনাদের পুলিশকে গ্রেফতার করতে পেরেছে? এই রাজ্য কয়েকজন দুর্নীতিগ্রস্তদের আখড়ায় (হাবে) পরিণত হয়েছে। এত সব কিছুর পরে পুলিশের কোনও সদর্থক ভূমিকা চোখে পড়ছে না। তাই এ রাজ্যের পুলিশ কর্তৃপক্ষের উপর এই আদালতের কোনও আস্থা নেই। ফলে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া যথাযথ বলে আদালত মনে করছে।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই মামলাটি চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে আবার যেতে পারে। তাই রাজ্যের কাছে আমি আশা করব এখনও পর্যন্ত সিবিআই তদন্ত আটকাতে কত টাকা খরচ করা হয়েছে তা তারা জানাবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ইতিমধ্যেই শিক্ষক, পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্ত করছে সিবিআই। শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপক দুর্নীতির মাঝেই মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র ভর্তি নিয়েও বিস্তর অভিযোগ ওঠে।
চলতি বছরের মে মাসে মেডিক্যালে ভর্তির জন্য NEET পরীক্ষা দিয়েছিলেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা ইতিশা সোরেন। গত জুলাই মাসে ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। সেই পরীক্ষায় ইতিশার র্যাঙ্ক ছিল ২৮৩১৯। মামলাকারীর বক্তব্য, প্রথম কাউন্সেলিং ও দ্বিতীয় কাউন্সেলিংয়ের পরেও তিনি সরকারি কলেজে পড়ার সুযোগ পাননি। এদিকে, গত অগস্ট মাসে দ্বিতীয় কাউন্সেলিংয়ের পর বজবজের এক বেসরকারি কলেজ জগন্নাথ গুপ্ত মেডিক্যাল সায়েন্স এবং হাসপাতালে পড়ার সুযোগ পান তিনি। তাঁর অভিযোগ, তিনি তপশিলি উপজাতিভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও সুযোগ পাচ্ছেন না। অথচ অনেকেই ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন।
এই মামলার ভিত্তিতে রাজ্যের কাছে জবাব চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ডিরেক্টর অব মেডিক্যাল এডুকেশন দেবাশিস ভট্টাচার্যকেও তলব করা হয়। এবার এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।