AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Justice Biswajit Basu: “অতিরিক্ত ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কী প্রয়োজন? শিক্ষামন্ত্রীকে আইনে বদল আনতে বলুন”, রাজ্যকে প্রশ্ন বিচারপতি বসুর

Justice Biswajit Basu: বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, "সরকারি টাকায় সন্তানকে বেসরকারি স্কুলে পাঠাচ্ছেন। সরকারি স্কুলের ছাত্রের কী হবে ভেবেছেন?"

Justice Biswajit Basu: অতিরিক্ত ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কী প্রয়োজন? শিক্ষামন্ত্রীকে আইনে বদল আনতে বলুন, রাজ্যকে প্রশ্ন বিচারপতি বসুর
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু
| Edited By: | Updated on: Feb 20, 2023 | 4:18 PM
Share

কলকাতা: মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীই যখন কমে যাচ্ছে, তাহলে এখন আবার ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ কেন? সরকারি টাকায় সন্তানকে বেসরকারি স্কুলে পাঠাচ্ছেন? এক শিক্ষকের বেতন আপগ্রেডেশন সংক্রান্ত মামলায় সোমবার হাইকোর্টে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। তুহিনা সাহা নামে এক শিক্ষিকা বেতন আপগ্রেডেশন-সহ একাধিক সুবিধা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা করেন। সেই মামলার শুনানি ছিল সোমবার। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি প্রশ্ন করেন,”শিক্ষকরা চাইল্ড কেয়ার লিভ নিয়ে নিজের সন্তানকে দেখছেন। সেই সন্তানকে কে দেখবে যে আপনার জন্য ছুটির জন্য ভুক্তভোগী হচ্ছে?” বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “সরকারি টাকায় সন্তানকে বেসরকারি স্কুলে পাঠাচ্ছেন। সরকারি স্কুলের ছাত্রের কী হবে ভেবেছেন?”

সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের সময় এই বিষয়টা সামনে আনুন। ছাত্র কম থাকলে স্কুলগুলি একসঙ্গে যুক্ত করে দিন। স্কুলে ছাত্র সংখ্যা কম হলে, এত শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন কী আছে?”

উল্লেখ্য, এ বছর চার লক্ষ কম ছাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছে। বিচারপতি বসুর মন্তব্য, “এদিকে আপনারা ঘোষণা করে দিলেন দশ হাজার শূন্যপদ আছে শিক্ষকের। এদিকে তো মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। এই অতিরিক্ত নিয়োগের কী প্রয়োজন? অর্থের অপচয় ছাড়া কোনও লাভ আছে কি?”

রাজ্যের সরকারি আইনজীবীকে বলেন, “শিক্ষামন্ত্রীকে আইনে বদল আনতে বলুন। খুব কম পড়ুয়া রয়েছে, এমন স্কুলের পড়ুয়াদের কাছের কোনও স্কুলে পাঠিয়ে দিন।” যদিও মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ার পিছনে অতিমারী পরিস্থিতিকে কারণ হিসাবে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অতিমারির প্রভাবেই এ রকম হয়েছে। আবার প্রস্তুতি নিতে না পারায় অনেকেই পরীক্ষায় বসতে চাইছে না।