Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয়র ‘প্রাণপাখি’ কে? চাঞ্চল্যকর তথ্য এল ED-র হাতে
Ration Scam: ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, ওই শেল কোম্পানির টাকা পরবর্তীতে আরও দুটি সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। পার্টনারশিপে থাকা ওই দুই সংস্থার নাম এ জে অ্যাগ্রোটেক ও এজে রয়্যাল অ্যান্ড কো। কে চালাতেন এই সব সংস্থা?
কলকাতা: রেশনের চাল কিংবা আটা নিয়েই চরম দুর্নীতির অভিযোগ। সাধারণ মানুষের খাবারের চাল কিংবা আটা নিয়ে কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারি। কিন্তু কোথায় যেত সেই বিপুল পরিমাণ কালো টাকা? সেই শিকড় খুঁজতে গিয়েই উঠে আসছে একের পর এক নাম। একদিকে বাকিবুর রহমানের বয়ান, অন্যদিকে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ আধিকারিকদের দেওয়া তথ্য। সবটা মিলিয়ে দেখতে গিয়ে কার্যত চোখ কপালে ইডি আধিকারিকদের। ইডি সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, দুর্নীতিতে যে সব ভুয়ো কোম্পানির নাম জড়িয়ে যাচ্ছে, তার চাবিকাঠি ছিল মন্ত্রীর হিসাব রক্ষক (সিএ)-এর হাতে।
সস্তায় খাদ্যদ্রব্য কিনে খোলা বাজারে বিক্রি করতেন, এমনই অভিযোগ উঠেছে বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতার করার পর জেরা করে যে সব তথ্য জানতে পেরেছে ইডি, তাতেই উঠে এসেছে তিনটি সংস্থার নাম। শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রেশিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড এবং গ্রেশিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই তিন সংস্থার নামে হত কোটি কোটি টাকার লেনদেন। কোম্পানির নাম আছে, অথচ ব্যবসা কিসের কেউ জানে না। কালো টাকা সাদা করাই ছিল উদ্দেশ্য?
রেশন-দুর্নীতির ‘খেলা’ এখানেই শেষ নয়। ইডি সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে যে, ওই শেল কোম্পানির টাকা পরবর্তীতে আরও দুটি সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। পার্টনারশিপে থাকা ওই দুই সংস্থার নাম এ জে অ্যাগ্রোটেক ও এজে রয়্যাল অ্যান্ড কো। সেখানেই বা কী ব্যবসা হত? কোম্পানির পার্টনার হিসেবে যাঁর নাম ছিল সেই সি পি জেনা ইতিমধ্যেই ইডি-কে জানিয়েছে যে তিনি ছিলেন ডামি পার্টনার আর ওই সব সংস্থার মাধ্যমে আদতে কোনও ব্যবসাই হত না। ইডি সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তিই জানিয়েছেন এই সব ভুয়ো সংস্থা চালাতেন এমন এক ব্যক্তি, যিনি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সিএ বা হিসাবরক্ষক।