Jyotipriya Mallick: খোঁজ মিলেছে ‘মিডলম্যান’-এর! বাকিবুরের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেই বিপাকে বালু?
Jyotipriya Mallick: মাসে এক থেকে দু'বার টাকা পাঠাতে হত বলেও দাবি করেছেন বাকিবুর। এমনকী ঋণও নিতেন জ্যোতিপ্রিয়! এমনটাই দাবি বাকিবুরের। ১২ লক্ষ টাকা লোন হিসেবেও পাঠিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন বাকিবুর।
কলকাতা: ‘আটা চুরি’র টাকা দফায় দফায় যেত মন্ত্রীর কাছে! কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি-র হাতে আসছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। রেশন দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত বাকিবুর রহমানের বয়ান থেকেই মূলত একাধিক তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। আর সেই সব বয়ানই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে আরও বিপাকে ফেলতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে শুধুমাত্র বয়ানই সব নয়, ইডি-র হাতে এসেছে এমন এক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, যা থেকে মন্ত্রীর সঙ্গে বাকিবুরের টাকার লেনদেনও সামনে আসছে। তবে অভিযোগ, বাকিবুরের হাত থেকে নিজে টাকা নিতেন না জ্যোতিপ্রিয়, টাকা যেত মিডলম্যানের কাছে।
ইডি সূত্রে খবর, বাকিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর এক কর্মীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তা থেকেই মনে করা হচ্ছে মিডলম্যানের মাধ্যমে পাঠানো হত টাকা। সেই কথোপকথনে একাধিকবার MIC- বলে কারও কথা বলা হয়েছে। ইডি-র দাবি, বাকিবুর জেরায় জানিয়েছেন যে MIC আসলে মিনিস্টার ইন চার্জ অর্থাৎ তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
মাসে এক থেকে দু’বার টাকা পাঠাতে হত বলেও দাবি করেছেন বাকিবুর। এমনকী ঋণও নিতেন জ্যোতিপ্রিয়! এমনটাই দাবি বাকিবুরের। ১২ লক্ষ টাকা লোন হিসেবেও পাঠিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন বাকিবুর।
২০১১ সাল থেকে প্রায় ১০ বছর খাদ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর সেই সময়েই বাকিবুরের এই উত্থান। অভিযোগ, মন্ত্রীর হাত মাথায় থাকাতেই বাকিবুরের এত বাড়বাড়ন্ত। আর তথ্য বলছে, এই ১০ বছরে কার্যত ২০ গুন বেড়েছে মন্ত্রীর সম্পত্তি। প্রশ্ন উঠছে? দুর্নীতির টাকায় ভাগ বসিয়েই কি এই বিপুল সম্পত্তি? বাকিবুরের বয়ানে কি সেই প্রমাণই মিলছে না?