Kaliagunj Calcutta High Court: কালিয়াগঞ্জ মামলায় অন্তর্ভুক্ত হতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন শুভেন্দুর
Kaliaganj HC: এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ। ওই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। ছাত্রীর দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সে সময় পুলিশের দেহ উদ্ধারের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়।
কলকাতা:
কলকাতা: কালিয়াগঞ্জ মামলায় অন্তর্ভুক্ত হতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় সিবিআই চেয়ে আগেই মামলা করেছিল নাবালিকার পরিবার। সেই মামলায় অন্তর্ভুক্ত হতে চেয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে আবেদন জানালেন শুভেন্দু। প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মৃত নাবালিকার বাবা। মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাও। প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ। ওই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। ছাত্রীর দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সে সময় পুলিশের দেহ উদ্ধারের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তা নিয়ে আরও বাড়ে বিতর্ক। পরিবারের অভিযোগ, ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। অন্যদিকে, পুলিশ প্রশাসন বিষক্রিয়ার তত্ত্ব খাঁড়া করেছে। শুধু তাই নয়, ময়নাতদন্তের আগেই জেলার পুলিশ সুপার বলে দিয়েছিলেন, বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ছাত্রী। কীভাবে আগেই তা বলে দেওয়া সম্ভব, তা নিয়েও উঠে প্রশ্ন।
তোলপাড় হতে থাকে রাজ্য রাজনীতি। পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এনসিপিসিআর চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। যা নিয়ে, একের পর এক টুইটে আক্রমণ শানানো হয় রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে। মুখ্য়সচিব এবং ডিজিপি-কে ফোন করে রিপোর্ট চাওয়ার পাশাপাশি, দ্রুত ব্য়বস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এর আগে এই ঘটনায় একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছে। আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস সেই মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টেই সমান্তরাল ভাবে কালিয়াগঞ্জের এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত আরও একটি ইস্যু বিচারাধীন। কালিয়াগঞ্জে ‘পুলিশের গুলিতে’ যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। প্রসঙ্গত, ছাত্রী মৃত্যুর প্রতিবাদে কালিয়াগঞ্জ থানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। জনরোষ আছড়ে পড়ে পুলিশ কর্মীদের ওপর। থানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির কড়া নির্দেশ দেন। তারপরই মধ্যরাতে কালিয়াগঞ্জে বাড়িতে ঢুকে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি করে যুবকের খুনের অভিযোগ ওঠে। নিহত যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের ইস্যুতে জনস্বার্থ মামলা করেন বিজেপি নেতা ইন্দ্রনীল খাঁ। সেই মামলার তদন্তে আদালতে রিপোর্ট জমা করেছে সিআইডি।