Kalyani AIIMS Recruitment Case: সহযোগিতা করেননি বিধায়কের মেয়ে, এইমস নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের বাড়িতে যাচ্ছে সিআইডি
Kalyani AIIMS Recruitment Case: কল্যাণী এইমস নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে বিজেপি বিধায়কের। প্রভাব খাটিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কলকাতা : একদিকে যখন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি হেফাজতে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, অন্যদিকে, এইমস দুর্নীতির তদন্তে চলছে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার মেয়েকে প্রথমবার জিজ্ঞাসাবাদ করে তেমন কোনও সূত্র মেলেনি বলেই সিআইডি সূত্রে খবর। তাই সোমবার ফের বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে যাচ্ছেন সিআইডি-র আধিকারিকরা। গত ১৫ জুলাই সিআইডি-র জিজ্ঞাসাবাদে বিধায়কের মেয়ে মৈত্রী দানা কোনও সহযোগিতা করেননি বলেই সূত্রের খবর।
সিআইডি সূত্রে খবর, সোমবার মৈত্রী দানার বাড়িতে গিয়ে কথা বলবেন আধিকারিকরা। বর্তমানে কল্যাণী এইমসে গ্রুপ ডি-তে নিযুক্ত রয়েছেন মৈত্রী। চলতি বছরেই তাঁর নিয়োগ হয়েছে। অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বিধায়কের মেয়েকে। শুধু মৈত্রীই নয়, এই মামলায় প্রশ্ন উঠেছে আর এক বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূ অনসুয়া ঘোষের চাকরি নিয়েও। তাঁকেও তলব করা হয়েছে। পরপর দুবার নোটিস দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি কল্যাণী এইমসে নিয়োগ সংক্রান্ত এই অভিযোগ সামনে আসে মাস কয়েক আগে। অভিযোগ সামনে এসেছে বিজেপি নেতার অভিযোগের সূত্র ধরেই। বিজেপি’র বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা, চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। তাঁদের আত্মীয়দের নিয়োগে বেনিয়মের কথা বলা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার ও রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল। পরে কল্যাণী থানায় যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, সেখানেও চার বিজেপি নেতার নাম ছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন এই হাসপাতালে নেতারা তাঁদের আত্মীয়দের চাকরির সুযোগ করে দিয়েছেন বলেই অভিযোগ।
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য। রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে উঠে এসেছে একের পর এক নেতা ও আধিকারিকদের নাম। বর্তমানে ইডি ও সিবিআই-এর তত্ত্বাবধানে চলছে সেই মামলার তদন্ত।