Kanchanjunga Express Accident: মালগাড়ির পাইলটদের উপর কী ধরনের ‘অত্যাচার’ হয় জানালেন রাজধানীর প্রাক্তন চালক
Kanchanjunga Express Accident: বিজয় বাহাদুরবাবু টিভি ৯ বাংলায় বলেন, "লোকো পাইলটদের উপর অত্যাচার করা হয়। ছুটি পায় না। অসুস্থ হলে ধমক দিয়ে লোকো পাইলটদের চাপ দিয়ে কাজ করানো হয়।" তিনি বলেছেন, "মালগাড়ির লোকো পাইলটরা ১৬ ঘণ্টা থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেন।"
![Kanchanjunga Express Accident: মালগাড়ির পাইলটদের উপর কী ধরনের 'অত্যাচার' হয় জানালেন রাজধানীর প্রাক্তন চালক Kanchanjunga Express Accident: মালগাড়ির পাইলটদের উপর কী ধরনের 'অত্যাচার' হয় জানালেন রাজধানীর প্রাক্তন চালক](https://images.tv9bangla.com/wp-content/uploads/2024/06/Rail-Accident-3.jpg?w=1280)
কলকাতা: ছুটি পান না। সামাজিক অনুষ্ঠানে যেতে পারেন না। কতক্ষণ কাজ করছেন তার কোনও হিসাব নেই। তার জন্যই শরীরে ক্লান্তি। আর তার থেকেই দুর্ঘটনা। ঠিক এই ভাষাতেই একদম স্পষ্ট করে সবটা বলে দিলেন রাজধানী এক্সপ্রেসের প্রাক্তন চালক বিজয় বাহাদুর সিং। শুধু তাই নয়, মালগাড়ির লোকো পাইলটদের উপর কী ‘অত্যাচার’ করা হয় সে বিষয়ও জানিয়ে দিলেন তিনি।
বিজয় বাহাদুরবাবু টিভি ৯ বাংলায় বলেন, “লোকো পাইলটদের উপর অত্যাচার করা হয়। ছুটি পায় না। অসুস্থ হলে ধমক দিয়ে লোকো পাইলটদের চাপ দিয়ে কাজ করানো হয়।” তিনি বলেছেন, “মালগাড়ির লোকো পাইলটরা ১৬ ঘণ্টা থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেন। হয়ত গাড়ি চালায় না। তবে বসিয়ে রাখে ওদের। নিয়ম আছে লোকো পাইলট ১২ ঘণ্টার বেশি চালাবে না। কিন্তু ১৬ ঘণ্টাও হয়ে যায় ওরা চালায়। ওদের এমন জায়গায় বসিয়ে দেয় যে যেখানে না খাবার পাবে, না জল পাবে। বাধ্য হয়ে চালক অনুরোধ করে এগিয়ে যাওয়ার। আর ও এগিয়ে যায়।”
উল্লেখ্য, কাঞ্চনজঙ্ঘা বা করমণ্ডল দুর্ঘটনা বারবার চালকরা ঘুমিয়ে পড়ছেন কি না সেই নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। আজ দুর্ঘটনা ঘটার পর সেই প্রশ্ন আরও একবার উস্কে দিল। রাজধানীর প্রাক্তন চালক দাবি করলেন, শরীরের ক্লান্তি বাধ্য হয়ে অনেক সময় ট্রেন চালাতে হয় লোকো পাইলটদের। আর সেই কারণে তাঁরা অনেক সময় ঘুমিয়ে পড়েন। যার জেরে ঘটে যায় এই রকম বড়সড় অঘটন।