Kanchanjunga Express Accident Update: ২ ঘণ্টার পথ ২৭ মিনিটে, পরপর সিগন্যাল ভেঙেছিলেন মালগাড়ির চালক! কাঞ্চনজঙ্ঘা বিপর্যয়ে প্রাথমিক রিপোর্টে বিস্ফোরক তথ্য
Kanchanjunga Express Accident Update: ৮:১০ মিনিটে মালগাড়িটি রাঙাপানি স্টেশন থেকে কাগজ সিগন্যাল নেয় এবং ৮:৩৭ মিনিটে চটেরহাট স্টেশন পেরিয়ে যায়। অর্থাৎ মাত্র ২৭ মিনিটে এতটা দীর্ঘ পথ ওই মালগাড়িটি পেরিয়েছিল। অথচ কাগজ সিগন্য়াল নিয়ম অনুযায়ী, যা গতিবেগ থাকার কথা, তাতে ন্যূনতম দু'ঘণ্টা সময় লাগতো রাঙাপানি থেকে চটেরহাট স্টেশন পৌঁছতে।
কলকাতা: কেবল সিগন্যালই ভেঙেছেন তেমন নয়, নিয়ম ভেঙে নির্দিষ্ট গতির থেকে অনেক বেশি গতিতে যাচ্ছিলেন মালগাড়ির চালক। আর তাতেই ভয়ংঙ্কর দুর্ঘটনা। কাঞ্চনজঙ্ঘা বিপর্যয়ের পর প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে, তার মধ্যে একটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জানা যাচ্ছে, এই দুর্ঘটনার আগে আরও একটি মালগাড়ি ওই রাঙাপানি থেকে বেরিয়ে চটের হাট স্টেশনের উপর দিয়ে গিয়েছিল। তখনও সিগন্যাল বিভ্রাট চলছিল।
৮:১০ মিনিটে মালগাড়িটি রাঙাপানি স্টেশন থেকে কাগজ সিগন্যাল নেয় এবং ৮:৩৭ মিনিটে চটেরহাট স্টেশন পেরিয়ে যায়। অর্থাৎ মাত্র ২৭ মিনিটে এতটা দীর্ঘ পথ ওই মালগাড়িটি পেরিয়েছিল। অথচ কাগজ সিগন্য়াল নিয়ম অনুযায়ী, যা গতিবেগ থাকার কথা, তাতে ন্যূনতম দু’ঘণ্টা সময় লাগতো রাঙাপানি থেকে চটেরহাট স্টেশন পৌঁছতে। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও ওই মালগাড়িটির চালক নিয়ম ভেঙে দ্রুত গতিতে একের পর একটি সিগন্যাল বেরিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় যদি কোন এক্সপ্রেস ট্রেন থাকতো ওই লাইনে, তাহলে কাঞ্চনজঙ্ঘার থেকেও বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারত। মনে করছেন তদন্তকারীরা।
ঘটনার দিন থেকে এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, রাঙাপানি স্টেশন থেকে বেরোনোর পর মাত্র সাড়ে তিন মিনিটে মাল গাড়ির গতিবেগ ৫০ কিমি প্রতি ঘন্টায় উঠে যায়। যা সম্পূর্ণ কাগজ সিগন্যাল নিয়মবিরুদ্ধ। এই ৮ কিলোমিটারের মধ্যে মোট ১৫ টি স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল রয়েছে। মালগড়ির চালক প্রত্যেকটি লাল সিগন্যাল ভেঙে এগিয়ে গিয়েছেন বলে প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। মালগাড়ির চালকদের লার্নিং থাকতে হয়। এই মাল গাড়ির চালকের লার্নিং ছিল কিনা, সেটাও তদন্ত সাপেক্ষ। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মালগাড়ির চালকের। তাঁর বিরুদ্ধেই এক যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হয়েছে এফআইআর। পুরো ঘটনা এখন তদন্তসাপেক্ষ।