Kanchanjunga Train Accident: ‘মা রান্না করে রেখো, আমি ৯টার মধ্যে ঢুকে যাব’, না ফেরার দেশে লেকটাউনের বিশ্বপ্রতাপ
Kanchanjunga Train Accident: বুধবার তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছাতেই শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার। বারে বারে জ্ঞান হারাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী। শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন তাঁর মা। গোটা এলাকা শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে। এদিন তাঁর মা জানান,"আমার সঙ্গে দুর্ঘটনার কিছু আগেই কথা হয়েছিল।
লেকটাউন: ঘটনা ঘটেছে সোমবার। সেদিন থেকেই শুরু উৎকণ্ঠা। কারণ ছেলে তো উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরছে কাঞ্চনজঙ্ঘায়। আর কোনও খোঁজ নেই। কানে আসছিল অনেকের নাকি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। তাহলে কি তাঁর ছেলের সঙ্গেও কিছু….। কিন্তু মা তো! তাই খারাপ ভাবনা মনে আনতে চাইছিলেন না। এরপর কেটে গিয়েছে মঙ্গলবার। ছেলের কোনও খোঁজ নেই। পরে বুধবার এল খবর। না! তাঁর বড় ছেলে বেঁচে নেই। দুর্ঘটনাই কেড়ে নিয়েছে প্রাণ। লেকটাউনের বাসিন্দা বিশ্বপ্রতাপ মিশ্রার মৃত্যুতে কার্যত ‘রা’ কাটতে পারছে না পরিবার। বিশ্বপ্রতাপ বাবুর মা জানালেন,ছেলের সঙ্গে ঘটনার আগেই কথা হয়েছিল। বলেওছিল, “মা রান্না করে রেখো আমি ৯টার মধ্যে ঢুকে যাব।”
জানা যাচ্ছে, লেকটাউন দক্ষিণদাঁড়ির বাসিন্দা বিশ্বপ্রতাপ মিশ্র (৩৫)। কর্মসূত্রে উত্তরবঙ্গে থাকতেন। দিন পঁচিশ আগে গিয়েছিলেন সেখা। মা বাড়িতে ফিরছেন। সেই খবর পেয়ে ওই ট্রেনে চেপে বাড়ি ফিরে আসছিলেন বিশ্বপ্রতাপ। কিন্তু ফেরা হল না। রেল দুর্ঘটনায় অকালে প্রাণ দিতে হল বছর পঁয়ত্রিশের এই যুবককে।
বুধবার তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছাতেই শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার। বারে বারে জ্ঞান হারাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী। শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন তাঁর মা। গোটা এলাকা শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে। এদিন তাঁর মা জানান,”আমার সঙ্গে দুর্ঘটনার কিছু আগেই কথা হয়েছিল। এরপরই রেল দুর্ঘটনার খবর জানতে পারি। শোনা মাত্রই আমি আর এক সন্তানকে খোঁজ নিতে বলি। তারপর বেশ কয়েকবার শিয়ালদহ খোঁজ নেওয়া হয়েছিল। তবে সন্ধান পাননি। এরপরে আমার ওই ছেলে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত্যু সংবাদ পান।”