আদালতেও উঠল ‘খেলা হবে’ প্রসঙ্গ! শব্দ প্রয়োগের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

দীপঙ্করের দাবি, পুলিশ তাঁকে বলেছে 'এবার তোকে নিয়ে খেলা হবে'। দীপঙ্করের অভিযোগ, তিনি যে গাড়িটি চালান সেই গাড়িও পুলিশ আটক করেছে এবং তার ভেতর গাঁজা রেখে দিয়ে মাদক মামলা দায়ের করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

আদালতেও উঠল 'খেলা হবে' প্রসঙ্গ! শব্দ প্রয়োগের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Feb 17, 2021 | 11:48 PM

কলকাতা: আদালতেও উঠে এল ‘খেলা হবে’ (Khela Hobe) প্রসঙ্গ! পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল ‘খেলা হবে’ বলার। অভিযোগ তুললেন মৌলালির কাছে পুলিশি হেনস্থার ঘটনায় ধৃত দীপঙ্কর সেনগুপ্ত।

মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর প্রতিবাদ মৌলালির কাছে পুলিশকে হেনস্থার ঘটনা ঘটে। যার প্রেক্ষিতে ২৫০ জনের নামে অভিযোগে দায়ের করা হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে দীপঙ্কর সেনগুপ্ত নামক এক ব্যক্তিকে। তাঁকে এ দিন কলকাতার নগর দায়রা আদালতে তোলা হয়ে তিনি দাবি করেন, গ্রেফতারের পর পুলিশ অকথ্য অত্যাচার করেছে। শহরের একাধিক জায়গায় পুলিশের গাড়ি দাঁড় করিয়ে মারা হয়েছে। এবং সেই আঘাতের চিহ্ন স্পষ্টত দৃশ্যমান। বিচারক নিজে সেই আঘাতের চিহ্ন খতিয়ে দেখেছেন এজলাসের ভেতরে।

আদালতে দীপঙ্করের আরও দাবি, পুলিশ তাঁকে বলেছে ‘এবার তোকে নিয়ে খেলা হবে’। দীপঙ্করের অভিযোগ, তিনি যে গাড়িটি চালান সেই গাড়িও পুলিশ আটক করেছে এবং তার ভেতর গাঁজা রেখে দিয়ে মাদক মামলা দায়ের করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এর পাশাপাশি জোর করে দলের উচ্চতর নেতৃত্বের ছবি দেখিয়ে তাঁদের নাম বলার জন্য পুলিশ চাপও দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন দীপঙ্কর।

ধৃতের আইনজীবী বলেন, “পুলিশ কর্মীকে লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু ওই পুলিশের কোনও লাঠির আঘাত নেই। কোনও গুরুতর আঘাত নেই। ওখানে তো আরও অনেক পুলিশ ছিল, আর তো কেউ কিছু বলছে না। কারোর তো আঘাত লাগেনি। ওনাকে (দীপঙ্কর) তো হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়নি।” যারা পেটের দায়ে গাড়ি চালিয়ে খায়, তাদের গাড়ি কেন বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

আরও পড়ুন: কাঁকুড়গাছিতে শুভেন্দুর গাড়িতে ‘হামলার’ অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

পাল্টা সরকারি আইনজীবী দাবি করেন, হেনস্থার ঘটনার সময় যে পুলিশকর্মীরা মোতায়ন ছিলেন তাঁরা আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা পুলিশের কথায় কান দেয়নি। দাঙ্গার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত। ধৃতকে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই ঘটনায় আরও কে বা কারা জড়িত আছেন তাঁদের হদিস পাওয়া যাবে। তাই পুলিশ হেফাজত দেওয়া হোক। শেষে যদিও সরকারি আইনজীবীর আবেদনে সাড়া না দিয়ে দীপঙ্করকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন: প্রাথমিকে নিয়োগ: কাউন্সেলিংয়ের প্রথম দিনই বিতর্কে সংসদ, বিক্ষোভে কয়েকশো প্রার্থী