Manik Bhattacharya: ‘আমাকে মেরে ফেলো…’, কোর্টরুম থেকে বেরিয়ে ভেঙে পড়লেন মানিক

Manik Bhattacharya: মানিকের স্ত্রী ও ছেলেকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি, তবে তাঁদের ভূমিকা কী ছিল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে বলে উল্লেখ করেছেন ইডি-র আইনজীবীরা।

Manik Bhattacharya: 'আমাকে মেরে ফেলো...', কোর্টরুম থেকে বেরিয়ে ভেঙে পড়লেন মানিক
আদালতে পেশ করা হয়েছিল মানিককে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2022 | 5:14 PM

কলকাতা : গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে দফায় দফায় জেরার মুখে পড়তে হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)। দুর্নীতির শিকড় খুঁজতে গিয়ে মানিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ সামনে এনেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। আদালতে পেশ করা হয়েছে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির হিসেব। তবে সে সব অভিযোগের মুখে আগে এভাবে ভেঙে পড়তে দেখা যায়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে। চার্জশিটে স্ত্রী ও ছেলের নামের উল্লেখ রয়েছেই শুনেই কার্যত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন তিনি। বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। এদিনই চার্জশিট পেশ করেছে ইডি, আর তাতে রয়েছে মানিকের স্ত্রী ও পুত্রের নাম। আদালতে ইডি একথা জানানোর পরই ভেঙে পড়েন মানিক।

আদালক কক্ষ থেকে বেরিয়ে তাঁর আইনজীবীর কাছে চলে যান মানিক ভট্টাচার্য। তাঁকে গিয়ে বলেন, ‘আমাকে মেরে ফেলো, কিন্তু আমার ছেলে ও স্ত্রী’কে জডিয়ো না।’ এরপরই সংবাদমাধ্যমের তরফে মানিকের কাছে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনি উত্তরে বলেন, ‘আমি আগেও কিছু বলিনি। এখনও আমার কিছু বলার নেই।’

এদিন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মানিকের নামে থাকা মোট ৬১ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৭.৯ কোটি টাকা ছিল, যা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সম্পত্তির হিসেব আলাদা বলেই জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। এই ৭.৯ কোটির মধ্যে রয়েছে মিউচুয়াল ফান্ড ও শেয়ারের টাকাও।

এই মামলায় ৫,২৪৭ টি নথি পাওয়া গিয়েছে ও ৬০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। মানিকের স্ত্রী ও ছেলেকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি, তবে তাঁদের ভূমিকা কী ছিল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে বলে উল্লেখ করেছেন ইডি-র আইনজীবীরা। এখনও পর্যন্ত ২৯ কোটি টাকার হিসেব পাওয়া গিয়েছে বলেও ইডি-র তরফে জানানো হয়েছে। এছাড়া চার্জশিটে নাম রয়েছে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের। তাপসকে আগেই একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মানিকের ছেলে ও স্ত্রীর নাম আগেও সামনে এসেছে। এর আগে মানিকের স্ত্রীর একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, যেখানে এক মৃত ব্যক্তির নাম থাকার অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়া মানিকের ছেলের মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলের একটি কনসালটেন্সি সংস্থা ছিল বলে জানা গিয়েছে, যেখানে বেসরকারি বিএড কলেজগুলি থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল বলেও জানা যায়।