দুর্নীতি রুখতে কড়া পুরসভা, শ্মশান কর্মীদের সহজে চিনতে এবার বিশেষ পোশাক

KMC: একইসঙ্গে কলকাতার সবক'টি শ্মশানে হোর্ডিং লাগানো হবে। যেখানে মূলত কিছু নির্দেশাবলী থাকবে।

দুর্নীতি রুখতে কড়া পুরসভা, শ্মশান কর্মীদের সহজে চিনতে এবার বিশেষ পোশাক
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 11, 2021 | 8:08 PM

কলকাতা: করোনাকালে দেহ সৎকারে কালোবাজারির চক্র চালাচ্ছে কেউ কেউ। অভিযোগ পেয়ে পাঁচজনকে সাসপেন্ডও করেছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু, শুধু সাসপেন্ড করেই হাত গুটিয়ে বসে থাকতে নারাজ তারা। এবার কলকাতা পুরসভার আওতাধীন সমস্ত শ্মশানের কর্মীদের অ্যাপ্রন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা। কারা পুরসভার কর্মী, তা যাতে সহজেই শনাক্ত করা যায় সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত। একইসঙ্গে শ্মশানের বাইরে হোর্ডিংও লাগানো হবে পুরসভার তরফে। তাতে কিছু নির্দেশিকা থাকবে।

শুক্রবার কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কলকাতার সবক’টি শ্মশানে হোর্ডিং লাগানো হবে। যেখানে মূলত কিছু নির্দেশাবলী থাকবে। যেমন, দেহ সৎকারের জন্য কাউকে টাকা দিতে হবে না, কেউ অতিরিক্ত টাকা চাইলে পুরসভাকে ফোন করে জানান, শববাহী গাড়িতে নির্দিষ্ট ভাড়ার থেকে এক টাকাও বেশি দেবেন না, কেউ দাহকার্য করতে না চাইলে পুরসভার কন্ট্রোল রুমের নম্বরে জানান।

পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ নিজের ব্যক্তিগত নম্বরও ওয়ার্ডে দিয়ে রাখছেন। থাকছে কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোল রুমের নম্বর। যেই নম্বরে অভিযোগকারীরা সরাসরি পুরপ্রশাসনকে তাঁদের যাবতীয় অভিযোগ জানাতে পারবেন। এ ছাড়াও এদিন সিদ্ধান্ত হয়েছে কলকাতা পুরসভার শ্মশানের সব কর্মীদের অ্যাপ্রন দেওয়া হবে। যে পোশাক দেখলে সহজেই তাঁদের চিহ্নিত করা যাবে।

আরও পড়ুন: মুকুলের যাওয়াকে আমল দিতে নারাজ জয়প্রকাশ; সুখেন্দুশেখর বললেন ‘এবার তাসের ঘরের মত ভাঙবে বিজেপি’

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে রাজেশ সিংহানিয়া নামে এক ব্যক্তি তাঁর পরিজনের মৃতদেহ দাহ করতে গিয়েছিলেন। সেই দেহের দাহ প্রক্রিয়া দ্রুত করে দেওয়ার জন্য ওই শ্মশানের ডোম আনন্দ মল্লিক তাঁর কাছ থেকে ৫০০০ টাকা নেয়। ঘটনার অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুরস্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ওই ডোমকে ডেকে আনা হয়। অভিযুক্ত নিজের দোষ স্বীকার করেন। তারপরই তাঁকে দিয়ে মুচলেকা লেখানো হয়। অভিযুক্ত রাজেশবাবুকে ৫০০০ টাকা ফেরৎ দিয়ে দেন। এরপরই আনন্দকে সাসপেন্ডও করা হয়। এরকম কালোবাজারির অভিযোগে আরও চারজনকে সাসপেন্ড করে পুরসভা। এরপরই শুক্রবারের বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।