Darjeeling: দার্জিলিংয়ের কমলালেবু চিনবেন কীভাবে? জেনে নিন সহজ টোটকা
Darjeeling: প্রায়ই শোনা যায় দার্জিলিংয়ের লেবু বলে ভিন জায়গার লেবু বেচে দেন ফল বিক্রেতারা। কিন্তু, সামান্য কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখলেই আসল-নকলের পার্থক্য বোঝা যায় সহজেই। দার্জিলিংয়ের কমলালেবু আকারে অনেকটাই ছোট। এর খোসাও অনেক মসৃণ।
কলকাতা: শীতটা একটু জাঁকিয়ে পড়তেই জমে উঠেছে মরসুমি ফলের বিকিকিনি। কিন্তু, শীতের বিকালে একটু কমলা লেবু না হলে চলে নাকি? লোকাল ট্রেনের অলিগলি হোক, মফস্বলের বাজার কিংবা শীতের সকালে বাড়ির সামনে ফল বিক্রিতার ট্রলি, সব জায়গাই যেন অলিখিতভাবে চলে গিয়েছে কমলা লেবুর দখলে। বিক্রির নিরিখে পিছনে ফেলছে আপেল, কলাকেও। শীতের এই মরসুমি ফল একদিকে যেমন শীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সিদ্ধাহস্ত, তেমনই ওজন কমাতে এর জুড়ি মেলা ভার। ভাল থাকে ত্বক। কিন্তু, ট্রেনে, বাজারে যে সব কমলা লেবু দার্জিলিংয়ের বলে দেদার বিকোচ্ছে সেগুলি সত্যিই দার্জিলিংয়ের তো? নাকি ঠকছেন? কীভাবেই বা চিনবেন নাগপুরের লেবুকে?
প্রায়ই শোনা যায় দার্জিলিংয়ের লেবু বলে ভিন জায়গার লেবু বেচে দেন ফল বিক্রেতারা। কিন্তু, সামান্য কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখলেই আসল-নকলের পার্থক্য বোঝা যায় সহজেই। দার্জিলিংয়ের কমলালেবু আকারে অনেকটাই ছোট। এর খোসাও অনেক মসৃণ। ভিতরের অংশ পুরোটাই হয় ভরাট। কিন্তু, বাইরের কমলালেবুর অংশটা হয় ফাপা । বাইরের খোসাটাও হয় অনেক বেশি খসখসে। আরও সহজ করে বললে, দার্জিলিংয়ের কমলালেবুর খোসা ভিতরের অংশের সঙ্গে শক্তভাবে লেগে থাকে না।
এখানেই নাগপুরের লেবুর সঙ্গে পার্থক্যটা স্পষ্ট। নাগপুরের লেবু অনেকটাই শক্ত প্রকৃতির হয়। অন্যদিকে খোসাও শক্তভাবে লেগে থাকে ভিতরের অংশের সঙ্গে। তবে নাগপুরের থেকে দার্জিলিংয়ের লেবুর ফলন অনেকটাই কম হয়। তাই অনেক সময়ই দার্জিলিংয়ের লেবু বলে বিক্রি হতে দেখা যায় নাগপুরের লেবুকে। বিক্রি হয় টিনুও। বর্তমানে নাগপুরের লেবু বিকোচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা প্রতি কেজি। সেখানে দার্জিলিংয়ের লেবুর দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশি। বিকোচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা প্রতি কেজিতে।