কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে টসিলিজুমাব কেলেঙ্কারি কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি, উঠল তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার দাবি
TV9 বাংলার খবরের জের। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Kolkata Medicla College Hospital) টসিলিজুমাব (Tosilizumab) কেলেঙ্কারি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) চিঠি দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম (Doctor's Forum)।
কলকাতা: TV9 বাংলার খবরের জের। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Kolkata Medical College Hospital) টসিলিজুমাব (Tosilizumab) কেলেঙ্কারি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) চিঠি দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম (Doctor’s Forum)। ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত ও দোষীদের বহিষ্কার অথবা সাসপেন্ডের দাবি জানালেন চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ কমিটি গঠন করে তদন্ত করছে। পাশাপাশি বউবাজার থানায় দায়ের হয়েছে লিখিত অভিযোগ।
প্যাথলজি বিভাগের স্পেসমেন এক্সামিনেশন ফর্মে সঙ্কটজনক করোনা রোগীর চিকিৎসায় টসিলিজুমাবের রিক্যুইজিশন। এক সঙ্গে ২৬ টি টিসিলিজুমাব বেহাত হয়ে গিয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন মেডিক্যাল কলেজেরই এক মহিলা চিকিৎসক। একটি ফোনালাপের খেই ধরেই নতুন এই কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের। মঙ্গলবার বিষয়টি এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদন করে TV9 বাংলা। হেফাজত থেকে উধাও হয়ে যায় কয়েক লক্ষ টাকার টসিলিজুমাব। নাম জড়ায় হাসপাতালের সিসিইউ-র নার্স, এক মহিলা চিকিৎসকের। কিন্তু তাঁদের ফোনালাপে বোঝা যায়, এর বীজ রয়েছে অত্যন্ত গভীরে।
তারপরই নড়েচড়ে বসেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষ মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনা জানতে পারার পরই তদন্ত কমিটি গঠন করি আমরা। কমিটির সদস্যরা অভিযুক্তদের ডেকেছিলেন। আমরা ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্টটা চেয়েছি।” কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা অবশ্য এর পিছনে প্রভাবশালী যোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন না। এক সুর নার্সেস ইউনিটির সম্পাদকের কথাতেও। নার্সেস ইউনিটির সম্পাদক ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় বলেন, “তদন্তটা এমন হওয়া উচিত, যাতে কেউ পালিয়ে না যেতে পারে। এমনটা যেন না হয়, সবাই পার পেয়ে গেল, আর মাঝখান থেকে নার্স জড়িয়ে গেলেন। আমরা কারোরই পক্ষে নই। তবে সব দোষী যেন শাস্তি পায়।” সূত্রের খবর, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই রিপোর্ট দিতে পারে সাত সদস্যের কমিটি। রিক্যুইজিশন ফর্মে হাতের লেখা যাচাই করতে কমিটিতে ফরেনসিক বিভাগের সদস্যকেও রাখা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান দীপক দাস বলেন, “এখনও কিছু বলার মতো সময় আসেনি। তদন্ত চলছে।” উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসক সংগঠনের নেতারাও। আর সেটা লোকের সামনে আসা উচিত। একই ব্যক্তিকে নিয়ে অভিযোগ উঠেছে অতীতেও।
রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশ বলছেন, এসএসকেএম-এ কুকুর ডায়ালেসিস কাণ্ডের পর এত বড় কেলেঙ্কারির ঘটনা আগে ঘটেনি। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছেন তাঁরা। পুরো ঘটনায় প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম জড়িয়ে রয়েছে।