Narkeldanga Fire: মধ্যরাতে নারকেলডাঙায় দোতলা বাড়ির জানলা দিয়ে গলগল করে বেরোচ্ছে আগুন, ফের শহরে অগ্নিকাণ্ড

Kolkata Fire: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির সকলেই তখন খাওয়া দাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আচমকাই ঘরের ভিতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন।

Narkeldanga Fire: মধ্যরাতে নারকেলডাঙায় দোতলা বাড়ির জানলা দিয়ে গলগল করে বেরোচ্ছে আগুন, ফের শহরে অগ্নিকাণ্ড
নারকেলডাঙায় দোতলা বাড়িতে আগুন (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 31, 2021 | 9:49 AM

কলকাতা: ফের শহরে অগ্নিকাণ্ড (Fire Brigade)। নারকেলডাঙ্গা প্রধান রাস্তার ধারেই দোতলা বাড়িতে আগুন। মধ্যরাতে ওই বাড়িতে দোতলার একটি ঘরে আগুন লাগে। দমকলের ৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত হয়েছেন ওই বাড়ির দুজন ব্যক্তি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির সকলেই তখন খাওয়া দাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আচমকাই ঘরের ভিতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। বাড়ির বাসিন্দারাই প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। খবর যায় দমকলে। দ্রুত আগুন নেভানো হয়। কী থেকে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিটের জেরেই আগুন লেগেছে। তবে নিজেরাই প্রাথমিকভাবে আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন বাড়ির দুই পুরুষ সদস্য।

গত বৃহস্পতিবারই বেলেঘাটা (Beleghata Fire) এলাকার ৭ নম্বর কবি সুকান্ত সরণিতে একটি পুরনো কাঠের দোতলা বাড়িতে আগুন লাগে। ওই বাড়িতে দু-একজন বাস করতেন।স্থানীয় মানুষের তৎপরতায় আশপাশের বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যান।

প্রসঙ্গত, তার ঠিক চার দিন আগেই ১৫১ শরৎ বোস রোডে একটি বহুতলে আগুন লাগে। , টেলারিং কারখানা ছিল ওই বহুতলে। বন্ধ ছিল। দোতলায় আগুন লাগে। ৩ টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শহরের অগ্নিকাণ্ডে বড় বিপদের আশঙ্কা আজকাল থেকেই যায়। সেক্ষেত্রে আগে থেকে সতর্ক দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই চেতলা হাটের একটি বস্তিতে এদিন সকালে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। একেবারে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় পরিস্থিতি মুহূর্তে ভয়াবহ হয়ে ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার সময় ঘরে তিনটি বাচ্চা ছিল। তাদের নাম রাঘব মিশ্র, মাধব মিশ্র ও সাক্ষী মিশ্র। ছয় থেকে দশ বছরের মধ্যে তিনজনের বয়স। এর মধ্যে সাক্ষী মিশ্রের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়। তাদের তিনজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

সঙ্গে সঙ্গে দমকলের লোকজন গেলেও ঘিঞ্জি এলাকা বলে গাড়ি ঢোকানো সম্ভব হয়নি। পাইপে জল এনে তা দিয়েই আগুন নেভানোর কাজ চলে। স্থানীয় আবাসনগুলি থেকেও বালতি ভরে জল ঢালতে থাকেন মানুষ। সকলের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

চলতি সপ্তাহেই প্যারাডাইস সিনেমা হলের কাছে ৩০ নম্বর বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে আগুন লাগে। রাত ৯ টা নাগাদ এক বহুতলের বন্ধ অফিস থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। কলুটোলা স্ট্রিটের অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতার ক্ষত এখনও ভীষণ দগদগে। দমকলের ২০ টি ইঞ্জিন পৌঁছে গিয়েছিল সেখানে। কিন্তু তারপরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলেন না দমকল কর্মীরা। গোটা বহুতলটিকে গ্রাস করে সর্বখেকো। আবারও বহুতলে আগুনের ঘটনায় অশনী সঙ্কেত দেখছেন দমকলকর্মীরা। ঘিঞ্জি এলাকায় বিপদ বেশি। তাই আগেভাগেই সতর্কতা নিয়েছেন দমকলকর্মীরা।

আরও পড়ুন: ‘ব্রেক ওয়েল পোড়ার গন্ধ পাচ্ছিলাম, তখনই বিপদ আঁচ করেছিলাম’, উত্তরাখণ্ডের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন পর্যটকরা