জোড়াবাগান কাণ্ড: দারোয়ান নয়, তবে খুনী কে? জানাল পুলিশ

কলকাতা: জোড়াবাগান কাণ্ডের রহস্য ফাঁস। নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে কুপিয়ে খুন করা হয়। আর খুন করে রনবীর তাঁতি ওরফে রঘুবীরই। তাকে অস্ত্রের যোগান দেয় দারোয়ান রামকুমার। জোড়াবাগান কাণ্ডে (Jorabagan Child Murder Case) এমনই তথ্য উঠে এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে। ধৃত দু’জনকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে গণ ধর্ষনের মামলা রুজু করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে জোড়াবাগানে একটি ন’ বছরের মেয়ের গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয়। জানা যায়, মামাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল মেয়েটি। বুধবার বিকালে বাড়ির সামনেই সমববসীদের সঙ্গে খেলছিল মেয়েটি। তারপর সন্ধ্যা থেকেই তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওইদিন রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে পাশের বাড়ির ছাদে ওঠার সিঁড়ি থেকে শিশুটির গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়।

আরও পড়ুন: শুধু দারোয়ান নয়, জোড়াবাগানের সেই শিশু দু’জনের যৌন লালসার শিকার হয়েছিল!

তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এদিনই জোড়া বাগান যৌন নিগ্রহ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয় রণবীর তাঁতী ওরফে রঘুবীর। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিনে দু জনই মত্ত অবস্থায় ছিল। রঘুবীর পেশায় মার্বেল মিস্ত্রি। রণবীর শিবশঙ্কর নামে এক জনৈক মার্বেল ব্যবসায়ীর কাছে কাজ করত সে। আর শিবশঙ্কর ওই নাবালিকার মামার বাড়ির ঠিকানায় থাকে। সেখানেই নিচের একটি ঘরে থাকত রণবীর। তবে তার আসল বাড়ি বিহারের বেগুসারাইয়ে। সেখানে তার স্ত্রী ও তিন মেয়ে রয়েছে। ওই বুাড়ির দারোয়ান রাম কুমারকে গ্রেফতারের পরে রঘুবীর কলকাতা ছেড়ে বিহারে পালায়। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিরিয়ানির লোভ দেখিয়েই শিশুটিকে ঘরে ডেকে নিয়ে যায় সে। সেসময় ঘরে ছিল রণবীরও। এরপর মদ ও বিরিয়ানি খায়। শিশুটির ওপর যৌন নির্যাতন করে দুজনেই। এরপর তাকে খুন করে রনবীর তাঁতি ওরফে রঘুবীর। জানা গিয়েছে, রামকুমার গ্রেফতার হওয়ার পরেই বিহারের বাড়িতে পালিয়েছিল রঘুবীর। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে রঘুবীরের নাম। পরে তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।