বৈশাখীর জায়গা শূন্য, অনলাইনে পরীক্ষা-পঠনপাঠনের দাবিতে মিল্লি আল আমিন কলেজে বিক্ষোভ

পড়ুয়াদের অভিযোগ, কলেজের টিচার ইনচার্জ পদ থেকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার পর এখনও পর্যন্ত সেই পদে কেউ দায়িত্ব নেননি। ফলে চরম অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে কলেজে। হচ্ছে না অনলাইনে ক্লাস। বন্ধ পঠনপাঠন।

বৈশাখীর জায়গা শূন্য, অনলাইনে পরীক্ষা-পঠনপাঠনের দাবিতে মিল্লি আল আমিন কলেজে বিক্ষোভ
মিল্লি আল আমিন কলেজে বিক্ষোভ
Follow Us:
| Updated on: Dec 02, 2020 | 2:02 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: অচলাবস্থা জারি মিল্লি আল আমিন কলেজ ফর গার্লসে (Milli Al Ameen College For Girls’)। অনলাইনে পরীক্ষা, পঠনপাঠনের দাবিতে বুধবারও কলেজের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ বসেছেন পড়ুয়ারা।

পড়ুয়াদের অভিযোগ, কলেজের টিচার ইনচার্জ পদ থেকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার পর এখনও পর্যন্ত সেই পদে কেউ দায়িত্ব নেননি। ফলে চরম অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে কলেজে। হচ্ছে না অনলাইনে ক্লাস। বন্ধ পঠনপাঠন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনান্য কলেজের মতো তাঁদের কলেজে পরীক্ষা হয়নি বলেও অভিযোগ পড়ুয়াদের। এমনকি কলেজের অফিসিয়াল বিভিন্ন কাজও বন্ধ রয়েছে। শুধু তাই নয়, গত ৯ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরাও।

প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকেই কার্যত বিক্ষোভে সামিল হন পড়ুয়াদের একাংশ। তা জারি বুধবারও। উল্লেখ্য, কলেজের পঠনপাঠন-সহ অনান্য বিষয় স্বাভাবিক করার আর্জি নিয়ে এদিন স্থানীয় বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন শিক্ষিকারা।

প্রসঙ্গত, গত বছরই ডিসেম্বরে মিল্লি আল আমিন কলেজের (Milli Al Ameen College For Girls’) টিচার ইন চার্জ পদ থেকে ইস্তফা দেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সে সময় তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান অর্থাত্ বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব আর তৃণমূলের কাছাকাছি আসার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে তৈরি হয় নতুন জল্পনা। সেই পরিস্থিতির মধ্যেই সবাইকে চমকে দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সরাসরি ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি।

আরও পড়ুন: কয়লা পাচারকাণ্ডে আজও সকাল থেকে সিবিআই অভিযান

এরপর একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি আমি। কাজের পরিবেশ নেই।” সময়টা এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। অমিত শাহর মধ্যস্থতায় শোভন-বান্ধবী এখন ফের বিজেপিতে সক্রিয়। বদলেছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। কিন্তু বদলায়নি আল আমিন কলেজের পরিস্থিতি। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, এরপর থেকেই কলেজে ওই পদ এখনও ফাঁকাই রয়েছে। ভেঙে পড়েছে কলেজের পঠনপাঠন ব্যবস্থা।