Firhad Hakim: বেআইনি নির্মাণ রুখতে না পারলে দায় নিতে হবে পুলিশকে, রেয়াত নয় পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ারদেরও; কড়া দাওয়াই মেয়রের

KMC : ফিরহাদ হাকিম বলেন, "কলকাতা পুলিশের কমিশনার আমায় কথা দিয়েছেন, তিনি সামনের কলকাতার সবক'টি থানার ওসিদের নিয়ে বৈঠকে জলাশয় ভরাট রুখতে কড়া পদক্ষেপের কথা বলবেন এবং এই দায়বদ্ধতা নেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করে দেবেন।"

Firhad Hakim: বেআইনি নির্মাণ রুখতে না পারলে দায় নিতে হবে পুলিশকে, রেয়াত নয় পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ারদেরও; কড়া দাওয়াই মেয়রের
মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 18, 2022 | 9:08 PM

কলকাতা : শহরের জলাশয় ভরাট রুখতে এবং বেআইনি নির্মাণ বন্ধের জন্য তৎপর কলকাতা পুরনিগম। বুধবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক বসেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পরে সাংবাদিক বৈঠকে মেয়র জানিয়েছেন, কলকাতার বুকে বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে প্রায় ৩ হাজার। এর মধ্যে ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে অর্থাৎ যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে এই রকম বাড়ির সংখ্যা ১০০। বিপজ্জনক বাড়িগুলিতে যেমন নোটিস দেওয়া হয়, তেমনই এই ধরনের ভয়াবহ অবস্থা থাকা বাড়িগুলিতে নোটিস দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে এবং কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে যুগ্মভাবে আমরা যেন এই ভয়াবহ অবস্থায় থাকা বাড়িগুলিতে পরিদর্শনে যাই এবং সেখানকার বাসিন্দাদের বোঝাই, যে কোনও সময় এই বাড়ি ভেঙে পড়তে পারে। তাতে আপনাদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। এর বদলে আপনাদের “সার্টিফিকেট অফ অকুপাইড” দেওয়া হবে। যখন ওই বাড়ি ভেঙে কেউ নতুন করে বাড়ি তৈরি করবে তখন বলে দেওয়া হবে, যাঁরা ওই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন তাঁদের শর্ত বা বক্তব্য ছাড়া নতুন নির্মাণ করা যাবে না। আমরা বিল্ডিং প্ল্যানও অনুমোদন করব না।”

কলকাতার মহানাগরিক আরও জানিয়েছেন, “আমি নির্দিষ্ট করে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে বলে দিয়েছি, যদি কোথাও জলাশয় ভরাট হয়, তাহলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, থানার পুলিশ অফিসারকে ওই জলাশয় ভরাটের দায়বদ্ধতা নিতে হবে। কলকাতা পুলিশের কমিশনার আমায় কথা দিয়েছেন, তিনি সামনের কলকাতার সবক’টি থানার ওসিদের নিয়ে বৈঠকে জলাশয় ভরাট রুখতে কড়া পদক্ষেপের কথা বলবেন এবং এই দায়বদ্ধতা নেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করে দেবেন। শুধু পুলিশ প্রশাসনকেই নয়, দায়বদ্ধ থাকবেন কলকাতা পুরনিগমের বিল্ডিং বিভাগের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, সাব অ্যসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং অ্যসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। বেআইনি নির্মাণ মাসের-পর-মাস চললে, তারপর মানুষ সেই বেআইনি বাড়ির ভিতরে ঢুকে গেল, তখন সেই মানুষজনকে বের করে আনা সম্ভব হয় না। তাই বেআইনি নির্মাণ আগে থেকেই বন্ধ করতে হবে।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, এই বেআইনি কাজ বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়াররা এই ব্যর্থতার দায়ভার বহন করবেন। প্রয়োজনে সেই ইঞ্জিনিয়ারদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ার বলে তাদের কোনও রকম ছাড় দেওয়া হবে না। বেআইনি নির্মাণ হলে প্রথমে ডিজি বিল্ডিং কে জানাতে হবে। তার পরেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ডিজি বিল্ডিং কলকাতা পুরনিগমের কমিশনারকে জানাবেন। কলকাতা পুরনিগমের কমিশনার কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে জানাবেন। পুলিশ এবং পুরনিগম যৌথভাবে এই বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করবে।”