‘অপারেশন সাকসেসফুল’ হলেই বৈদেশিক মুদ্রার পরিবর্তন করে ফেলতেন নিমেশে! এন্টালি থেকে গ্রেফতার মূল চক্রী
Fake Call Center: তদন্তকারীরা বলছেন, সল্টলেক সেক্টর ফাইভে কল সেন্টার খুলেছিলেন প্রতারকরা।
কলকাতা: সল্ট লেক সেক্টর ফাইভের ভুয়ো কল সেন্টারের ঘটনায় গ্রেফতার মূল চক্রী বিদেশি মুদ্রা থেকে ভারতীয় মুদ্রায় পরিবর্তন করার কাজ করতেন ওই ব্যক্তি। ধৃতের নাম শেখ মুসাইব রহমান।
এন্টালি এলাকা থেকে বছর পঁচিশের ওই যুবককে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ১০ তারিখ সেক্টর ফাইভ থেকে ভুয়ো কল সেন্টারের আড়ালে বিদেশি নাগরিকদের প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
৯ জনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। সেই ঘটনায় আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কল সেন্টার খুলে বিদেশি নাগরিকদের জালে ফেলতেন ওঁরা। অভিনব কায়দায় প্রতারণা চলত। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
কীভাবে চলত প্রতারণা?
তদন্তকারীরা বলছেন, সল্টলেক সেক্টর ফাইভে কল সেন্টার খুলেছিলেন প্রতারকরা। সেখানে কয়েকজনকে নিয়োগ করা হয়। বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির ব্যাক অফিস থেকে নম্বর সংগ্রহ করা হয়। এরপর টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে ফোন করা হত। কেবল ব্যক্তিবিশেষেই নয়, বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা এ ভাবে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, শুধু রাজ্যে বা দেশে নয়, বিদেশেও টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত্ করেছে এই দল। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ জমা পড়ে সাইবার ক্রাইম থানায়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ সেক্টর ফাইভে একটি অফিসে অভিযান চালায়। এরপর আরও একটি অফিসে চলে তল্লাশি। মোবাইল ল্যাপটপ, ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়। গত ১০ অগস্টে ঘটনার তদন্ত শুরু করেন সাইবার সেলের কর্তারা। সল্টলেকে দুটি অফিসে তল্লাশি চালানো হয়।
তারও আগে পার্কস্ট্রিটে এভাবে ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পান তদন্তকারীরা। সেখান থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। একটি বিশ্বখ্যাত সংস্থার নাম করে কল সেন্টার খুলেছিলেন ধৃতরা। সেখানেই পেতেছিলেন জালিয়াতির ফাঁদ। কম্পিউটার সারানো কিংবা বিভিন্ন গ্যাজেটস সারানোর নাম করে ইউকে-র বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে প্রথমে যোগাযোগ করতেন তাঁরা। তারপর সরাসরি সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে প্রতারণার জালে ফেলতেন। শহরে ভুয়ো আধিকারিকদের পাশাপাশি ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। প্রতারকদের জাল কত দূর বিছিয়ে রয়েছে, তা গোটাতে এবার মরিয়া তদন্তকারীরা। আরও পড়ুন: Post Poll Violance: জোর ধাক্কা রাজ্য সরকারের! NHRC-র সুপারিশেই সিলমোহর হাইকোর্টের, তদন্ত করবে CBI