অক্সিজেনের মাত্রায় হেরফের, বাড়িতেই চিকিৎসকদের কড়া তত্ত্বাবধানে বুদ্ধবাবু

ওঠানামা করছে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা। তবুও হাসপাতালে যেতে গররাজি কোভিডে (COVID) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)।

অক্সিজেনের মাত্রায় হেরফের, বাড়িতেই চিকিৎসকদের কড়া তত্ত্বাবধানে বুদ্ধবাবু
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: May 20, 2021 | 9:18 AM

কলকাতা: ওঠানামা করছে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা। তবুও হাসপাতালে যেতে নিমরাজি কোভিডে (COVID) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। বাড়িতেই চলছে তাঁর চিকিৎসা। দুশ্চিন্তার এখনই কোনও কারণ না থাকলেও তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন দল-চিকিৎসকরা। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসকদের কড়া তত্ত্বাবধানে রাখতে চাইলেও, স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমাতেই বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে নারাজ বুদ্ধবাবু। বুধবারই একবার জানা যায়, বুদ্ধবাবুর শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশনের মাত্রা নেমে গিয়েছে ৮৭তে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, যেহেতু তিনি সিওপিডিতে আক্রান্ত, তাই এখনও ওতটাও দুশ্চিন্তার বিষয় নেই।

দীর্ঘদিন ধরেই সিওপিডি-তে আক্রান্ত তিনি। গত কয়েক বছরে সে সমস্যা আরও বেড়েছে। তাঁকে রাখতে হয় পোর্টেবল অক্সিজেন সাপোর্টে। তাঁকে একাধিকবার ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। অসুস্থতার জন্য দীর্ঘদিন ঘরবন্দি তিনি। শেষবার তাঁকে দেখা গিয়েছিল ২০১৫ সালের ব্রিগেডের সমাবেশে। ২০১৯এ ব্রিগেডে গেলেও তিনি গাড়ি থেকে নামেননি। ২০২১ সালের ব্রিগেডের আগে দেন ভার্চুয়াল বার্তা।

বুদ্ধবাবর ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। চিকিৎসকরা বলছেন, বুদ্ধবাবু যেহেতু সিওপিডি-তে আক্রান্ত, তাতে অক্সিজেনের স্যাচুরেশনের মাপকাঠি সাধারণত ৮৮-৯০এর মধ্যে থাকবে। বুদ্ধবাবুর শরীরে বর্তমানে এই পরিমাণ অক্সিজেন ওঠানামা করছে। যদি এর নীচে নামতে শুরু করে, তাহলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন: এক রাতেই শারীরিক অবস্থার বেশ খানিকটা বদল! ফিরহাদের তত্ত্বাবধানে জেলের সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার

মঙ্গলবারই বেশ অনেকটা রাতেই জানা যায়, কোভিডে আক্রান্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী। বুদ্ধবাবুর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য এই মুহূর্তে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি। অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন তিনি। তাঁর শরীরে এই মুহূর্তে অক্সিজেন স্যাচুরেশনের মাত্রা ৯৫-৯৭। বুদ্ধবাবু দীর্ঘদিন ধরেই ঘরবন্দি। করোনা আবহে তাঁর স্ত্রীও তেমন ভাবে বাড়ির বাইরে বেরোন নি এবার ভোট দিতেও যাননি তিনি। কয়েকদিন ধরে শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হয়। মঙ্গলবার সকালেই সেই রিপোর্ট আসে।