Fraud Case: জালিয়াতিকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে এরা! ‘ভূতুড়ে’ অ্যাকাউন্টে ঢুকছিল টাকা

Kolkata Police: পদস্থ অফিসারের নামে ভুয়ো ইমেল ব্যবহার করে অধস্তন কর্মীর থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। সংস্থার উর্ধ্বতন অফিসারের ইমেল ভেবে ওই ব্যক্তি তড়িঘড়ি টাকা পাঠিয়ে দেন। ১০ হাজার টাকা পাঠান তিনি। এরপর যখন বিষয়টি জানাজানি হয়, তখনই সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা পুলিশের সাইবার থানায় অভিযোগ জানানো হয় সংস্থার তরফে।

Fraud Case: জালিয়াতিকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে এরা! 'ভূতুড়ে' অ্যাকাউন্টে ঢুকছিল টাকা
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2024 | 11:53 PM

কলকাতা: লোক ঠকানোর কারবারের নিত্য নতুন পন্থা খুঁজে বের করছে প্রতারকরা। এবার এক নামী স্টিল সংস্থার অফিসারের নামে ভুয়ো ইমেল আইডি খুলে প্রতারণার ছক। ফাঁসানো হয়েছে যাঁকে, সেই ব্যক্তিও ওই একই সংস্থার কর্মী। পদস্থ অফিসারের নামে ভুয়ো ইমেল ব্যবহার করে অধস্তন কর্মীর থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। সংস্থার উর্ধ্বতন অফিসারের ইমেল ভেবে ওই ব্যক্তি তড়িঘড়ি টাকা পাঠিয়ে দেন। ১০ হাজার টাকা পাঠান তিনি। এরপর যখন বিষয়টি জানাজানি হয়, তখনই সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা পুলিশের সাইবার থানায় অভিযোগ জানানো হয় সংস্থার তরফে।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সাইবার থানার তদন্তে উঠে আসে আনন্দপুর এলাকার কোনও এক স্বপন কুমার সেনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা রয়েছে। সেই মতো স্বপনকুমারের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। আর তাতেই চক্ষু চড়কগাছ। তদন্তে নেমে স্বপনকুমারের সন্ধান শুরু করেই পুলিশ জানতে পারে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই স্বপনকুমার সেনের অ্যাকাউন্টে টাকা তো ঢুকেছে, কিন্তু এই ব্যক্তির বাস্তবে কোনও অস্বস্তিই নেই। যা পুলিশের কাজকে আরও জটিল করে তোলে। তবে সাইবার থানার দুঁদে পুলিশ অফিসাররা বিভিন্ন ডিজিটাল নথি সংগ্রহ করে তা খতিয়ে দেখেন। আর তাতেই পর্দাফাঁস হয় গোটা জালিয়াতির।

ডিজিটাল নথি যাচাই করে পুলিশ জানতে পারে এন্টালি থানা এলাকার অভিজিৎ চট্টোপাধ্য়ায় নামে এক ব্যক্তির বিষয়ে। তাঁর থেকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুলিশ কসবার একটি ঠিকানা পায়। সেখানে তল্লাশি চালাতে বেরিয়ে আসে দু’টি মোবাইল, ১৮টি সিম, ১২টি ডেবিট কার্ড, সাতটি আধাঁর কার্ড, পাঁচটি প্যান কার্ড, পিওএস মেশিন, রেটিনা স্ক্যানার মেশিন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার মেশিন-সহ আরও গুচ্ছগুচ্ছ সামগ্রী। তদন্তের স্বার্থে ওই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে বড় কোনও গ্যাং জড়িয়ে রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে লালবাজার।