DA Protest: রাতের অন্ধকারে ধরনা মঞ্চের সামনে পৌঁছল পুলিশ, অবস্থান তোলার নির্দেশ ডিএ আন্দোলনকারীদের
DA: আন্দোলনকারীদের দাবি, ময়দান থানার পুলিশ একটা নোটিস নিয়ে গতকাল রাতে হাজির হয় ডিএ আন্দোলনকারীদের ধরনামঞ্চের সামনে। আর্মির আপত্তি রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। পাল্টা আন্দোলনকারীরা জানান, সেনার আপত্তি থাকলে তা নিয়ে তাঁরা কথা বলবেন। সেনার তরফে আপত্তি জানানো হয়েছে, সেই কাগজ কোথায়, জানতে চান আন্দোলনকারীরা। পুলিশ তা দেখাতে পারেনি বলেই আন্দোলনকারীদের দাবি।
কলকাতা: কেন্দ্রের হারে রাজ্যে ডিএর দাবিতে শহিদ মিনারের সামনে ধরনা-অনশনে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। সোমবার রাতে সেখানেই হাজির হয় ময়দান থানার পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশ গিয়ে জানায় এখান থেকে আন্দোলনকারীদের সরে যেতে হবে। রাতে এখানে অবস্থান করা যাবে না। এদিকে অনড় যৌথমঞ্চের সদস্যরাও। কারণ তাঁদের সঙ্গে রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ। এই নিয়ে কিছুটা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও চলে। যদিও পরে পুলিশ চলে যায়। রাতভর চলে ডিএর দাবিতে অবস্থান।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ময়দান থানার পুলিশ একটা নোটিস নিয়ে গতকাল রাতে হাজির হয় ডিএ আন্দোলনকারীদের ধরনামঞ্চের সামনে। আর্মির আপত্তি রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। পাল্টা আন্দোলনকারীরা জানান, সেনার আপত্তি থাকলে তা নিয়ে তাঁরা কথা বলবেন। সেনার তরফে আপত্তি জানানো হয়েছে, সেই কাগজ কোথায়, জানতে চান আন্দোলনকারীরা। পুলিশ তা দেখাতে পারেনি বলেই আন্দোলনকারীদের দাবি।
বরং সংগ্রামী যৌথমঞ্চের কাছে আদালতের যে নির্দেশ আছে, তাঁরা তা পুলিশকে দেখায়। একইসঙ্গে একটি চিঠিও দেওয়া হয় আন্দোলনকারীদের তরফে। পুলিশ তা গ্রহণ করে। আন্দোলনকারীদের দাবি, ১৭ দিন ধরে অনশন চলছে। ক্রমাগত শরীর খারাপ হচ্ছে তাঁদের। তা নিয়ে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেই রাজ্যের। উল্টে রাতে পুলিশ পাঠিয়ে আন্দোলন তোলার চেষ্টা চলছে।
সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “এক বছর পর ময়দান থানার মনে হয়েছে হাইকোর্ট যে অর্ডার দিয়েছে, সেই অনুযায়ী আমরা রাতে এখানে বসে থাকতে পারি না। সেনা নাকি তাদের বলেছে, অস্থায়ী যে পরিকাঠামো তৈরি করে আমরা বসে আছি, তার কোনও নির্দেশ নেই। যদিও সেনার চিঠি পুলিশ দেখাতে পারেনি। তিনজন অনশনকারী ১৭ দিন ধরে অনশনে থাকার পর পুলিশের এটা মনে হল কেন সেটাই আমাদের প্রশ্ন।” ভাস্কর জানান, লিখিতভাবে পুলিশকে তাঁরা জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশে কোথাও কোনও সময়ের উল্লেখ নেই। তাই উঠে যাওয়ার কোনও প্রশ্নও নেই।