Kolkata Police Website Insecure: কলকাতা পুলিশের ওয়েবসাইটে ঢুকছেন? খোয়াতে পারেন সর্বস্ব! বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসায় উদ্বিগ্ন লালবাজারও

Kolkata Police Website Insecure: যে লিঙ্কে ক্লিক করে আপনি অনলাইনে জরিমানা দেন, সেখানে ব্যক্তিগত ব্যাঙ্কিং তথ্য শেয়ার করেও আপনি পড়তে পারেন বিপদে!

Kolkata Police Website Insecure: কলকাতা পুলিশের ওয়েবসাইটে ঢুকছেন? খোয়াতে পারেন সর্বস্ব! বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসায় উদ্বিগ্ন লালবাজারও
কলকাতা পুলিশ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 04, 2022 | 1:40 PM

কলকাতা: সাইবার অপরাধ নিয়ে বারবার মানুষকে সতর্ক করছে কলকাতা পুলিশ। সাইবার ক্রাইম বর্তমানে পুলিশের সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথার কারণ। মোবাইলে আসা যে কোনও ধরনের লিঙ্ক কিংবা ভুল ওয়েবসাইটে গিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য দিতে বারণ করছে পুলিশ। এমনকি মোবাইলে আসা ওটিপিও অন্য কারোর সঙ্গে শেয়ার করতে বারণ করছে। সেখানে দাঁড়িয়ে সামনে এল এক বিস্ফোরক তথ্য। কলকাতা পুলিশের ওয়েবসাইটই অসুরক্ষিত। যে লিঙ্কে ক্লিক করে আপনি অনলাইনে জরিমানা দেন, সেখানে ব্যক্তিগত ব্যাঙ্কিং তথ্য শেয়ার করেও আপনি পড়তে পারেন বিপদে!

কলকাতা পুলিশের নিজস্ব ওয়েবসাইট  সুরক্ষিত নয়

সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের তরফে সতর্ক করা হয়েছে, কোনও ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে https থাকলে নিরাপদ, http থাকলে নয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কলকাতা পুলিশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটিই সুরক্ষিত নয়। kolkatapolice.gov.in লিখে সার্চ করলে URL শুরু হচ্ছে http দিয়ে। গুগল জানাচ্ছে সাইটটি সুরক্ষিত নয়। কলকাতা পুলিশের অফিশিয়াল সাইট দিয়ে আর্থিক লেনদেন হয় না ঠিকই, কিন্তু অনলাইনে জেনারেল ডায়েরির খোঁজ নেওয়া কিংবা পুলিশকে ফিডব্যাক দেওয়ার কলামে মোবাইল নম্বর বা ই-মেল আইডি দিতে হয়। সাইটটি সুরক্ষিত না হওয়ায়, তা বিপজ্জনক, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

পুলিশের একাধিক ওয়েবসাইট সুরক্ষিত নয়

শুধু কলকাতা পুলিশের সাইটই নয়.. বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট, আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের ওয়েবসাইটও NOT SECURE। এই সাইটগুলি থেকে আবার ফাইনও জমা দেওয়া হয়। সব থেকে উদ্বেগের বিষয়, রাজ্য পুলিশের অফিশিয়াল সাইট wbpolice.gov.in-কেও সুরক্ষিত নয় বলছে গুগল।

সাইবার বিশেষজ্ঞের মত

এ প্রসঙ্গে সাইবার বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যখন একটা ওয়েবসাইট ডিজাইন করা হয়, তখন আমার মিনিমাম মনে হয় একটা এসএসএল সার্টিফিকেট কেনা উচিত। তাতে কী হয়, ডেটাটা এনক্রিপ্টেড থাকে। এই এনক্রিপ্টেড ডেটাটা মাঝখানে কেউ হ্যাক করতে পারে না। এটা টেক্সট্যুয়াল ডেটা। বিশেষ করে পুলিশ অর্গানাইজেশনগুলো যেমন কলকাতা পুলিশ ও অনান্য জায়গায় নট সিকিওর লেখা থাকছে। এতে সমস্যাটা যেটা হবে, যারা এই ওয়েবসাইটগুলো অ্যাক্সেস করে কোনও ডেটা শেয়ার করবে, বা তাদের অ্যাক্সেস করতে গেলে মেইল আইডি শেয়ার করতে হবে, সেগুলো কিন্তু হ্যাকাররা নিয়ে নিতে পারে। মিনিমাম সুরক্ষার জন্য এসএসএল সার্টিফিকেটটা খুব জরুরি। ওটা নিলে অ্যাটলিস্ট এটা আমাদের সিকিওর থাকবে।”

ট্রাফিক ফাইন দিচ্ছেন অনলাইনে? বিপদে পড়তে পারেন

কলকাতা পুলিশের সাইটে আর্থিক লেনদেনের কোনও বিষয় নেই। তবে সেখানে এই ধরনের তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। কলকাতা পুলিশ, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইটে ট্রাফিক ফাইন দেওয়ার যে লিঙ্ক রয়েছে, তা ক্লিক করলে কিন্তু সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য অসুরক্ষিত হতে পারে। এতে সাধারণ মানুষেরই বড়সড় বিপদ হতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

আবার যারা হ্যাকার রয়েছে, তারা যে কোনও সময়েই কলকাতা পুলিশের এই সাইটের মতো দেখতে একটা সাইট বানিয়ে মানুষকে ঠকাতে পারে। এটা একটা বড়সড় বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। সেই আশঙ্কা করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। কলকাতা পুলিশও মানছে এক্ষেত্রে https থাকা উচিত।

কিন্তু এক্ষেত্রে বাঁচবার উপায় কী?

বোঝার প্রাথমিক উপায় হল, যে কোনও সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে যদি সেই সাইটটার নাম লেখা হয়, তখন দেখে নিতে হবে https রয়েছে কিনা। সেটা যদি না থেকে http থাকে, তাহলে সেই সাইট সুরক্ষিত নয়। সেটায় ক্লিক করলে গুগল জানিয়ে দেবে, সাইট সুরক্ষিত নয়। এখানে ব্যাঙ্কিং বা অন্য কোনও ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া যাবে না। সেই তথ্য জালিয়াতদের হাতে চলে যেতে পারে। সার্চ ইঞ্জিনই বলে দেবে সাইট সুরক্ষিত কিনা! সুরক্ষিত সাইট থেকেই কেনাবেচা কিংবা কিছু জানার থাকলে সেই সাইটেই ক্লিক করার কথা বলছে পুলিশ।

প্রশ্ন উঠছে, কলকাতা পুলিশ এতদিন ধরে কেন সাইটটাকে অসুরক্ষিত করে রাখল? কেন তাদের নজরে এল না এই বড়সড় গাফিলতি?

দেখুন বাঙালিয়ানা:

** বাঙালিয়ানার চর্চায় বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় বোস, অজয় চক্রবর্তী

** বাঙালিয়ানার চর্চায় অতিথি শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার