রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুপস্থিত রাজীব, কী বললেন পার্থ?
মঙ্গলবার ছিল রাজ্যের ক্যাবিনেট বৈঠক। তাতে অনুপস্থিত ছিলেন গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, চন্দ্রনাথ সিনহা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা: রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন ৪ মন্ত্রী। কিন্তু সবচেয়ে চর্চিত হল তাঁর নামই। তিনি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গ রাজনীতি এখন যাঁর রাজনৈতিক অবস্থান মাপতে তত্পর।
মঙ্গলবার ছিল রাজ্যের ক্যাবিনেট বৈঠক। তাতে অনুপস্থিত ছিলেন গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, চন্দ্রনাথ সিনহা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেছেন, প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত কারণে আসতে পারেননি এদিন। তবে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। তৃণমূলে যখন ‘দলবদল’এর ঝোড়ো ইনিংস শুরু হয়েছে, তখন এই ‘ব্যক্তিগত’ কারণ আতসকাচের নিচে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আসলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যা য় নামটা চর্চিত হতে শুরু করেছে গত মাস থেকেই। কলকাতার একটি শীত বস্ত্র বিতরণের অনুষ্ঠানে ‘স্তাবকতার অভিযোগ’ ও সমসাময়িক আরও কয়েকটি অনুষ্ঠানে রাজীবের মন্তব্য বেশ বিতর্ক তৈরি করেছে রাজনৈতিক মহল। জল মাপতে তড়িঘড়ি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢাকা হয় বৈঠক। ছিলেন ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরও।
কিন্তু বৈঠক থেকে বেরিয়েও যে রাজীব তাঁর বক্তব্যে খুব বেশি স্বচ্ছতা রেখেছিলেন, তা বলতে নারাজ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ। সেদিন তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য ছিল, ‘আমাকে শুভেন্দুর সঙ্গে গোলাবেন না।’ উল্লেখ্য, তখনও শুভেন্দু নিজের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ‘সাসপেন্স’ বজায় রেখেছিলেন। এর এক সপ্তাহ পরে আবারও রাজীবকে ডেকে ‘মন বোঝার’ চেষ্টা করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: ‘দলবিরোধী’ মন্তব্য, সায়ন্তনকে শোকজ করল বিজেপি
এরপর তাঁর ক্যাবিনেট বৈঠকের অনুপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বিষয় হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের কাছে। রাজীব কি শুভেন্দুর ধারা নিতে চলেছেন? কারণ শুভেন্দুও শেষের দিকে এক এক করে সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠান, কর্মসূচি থেকে নিজেকে আড়ালের চেষ্টা করেছেন। রাজীবের পন্থা কি অন্য হবে? নাকি নিতান্তই ব্যক্তিগত কারণ? ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে গোটা বঙ্গ।