AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

৩১ জানুয়ারি তৃতীয় টেট, নবান্নে ঘোষণা মমতার

এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসের ১০ থেকে ১৭ তারিখ ইন্টারভিউ হবে। তারপর দ্রুত প্যানেল তৈরি করা হবে।

৩১ জানুয়ারি তৃতীয় টেট, নবান্নে ঘোষণা মমতার
ফাইল চিত্র।
| Updated on: Dec 22, 2020 | 6:11 PM
Share

কলকাতা: একইসঙ্গে পর পর দু’টো বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। একদিকে বুধবারই যখন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নোটিস বের হচ্ছে, তখন ৩১ জানুয়ারি হতে চলেছে তৃতীয় টেট (Teacher Eligibility Test)। মঙ্গলবার নবান্নে বসে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ইতিমধ্যেই টেট-এর জন্য আড়াই লক্ষ আবেদনপত্র জমা পড়েছে।

আরও পড়ুন: আগামিকাল বেরোচ্ছে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের নোটিস: মমতা

একুশের নির্বাচনের আবহে এদিনের ঘোষণা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। রাজ্যে কর্মসংস্থানকে হাতিয়ার করে তৃণমূল সরকারকে প্রতি মুহূর্তে বিঁধছে বিরোধীরা। মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর রাজ্যে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রাথমিকে তৃতীয় টেটের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ৯ নভেম্বর ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের কথা ঘোষণা করেন। সেইমতো প্রার্থীদের ‘ভেরিফিকেশন’ও করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসের ১০ থেকে ১৭ তারিখ ইন্টারভিউ হবে। তারপর দ্রুত প্যানেল তৈরি করা হবে।

এখানেই প্রশ্ন বিরোধীদের। ২০১৭ সালে বিজ্ঞাপণ বেরোনোর পর এতদিন যে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে ছিল তা হঠাৎ এত দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর হচ্ছে কীভাবে? এই প্রসঙ্গে নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সমর চক্রবর্তী বলেন, “এখনও বিষয়টি আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। বছরের পর বছর ছেলে মেয়েরা চাকরির অপেক্ষায় ছিল। তবে স্বচ্ছতা যেন যেন থাকে।” বিজেপিতে যোগ দিয়েই বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ,”জানুয়ারি পর্যন্ত এই নাটক চলবে।”

আরও পড়ুন: ‘আমরা কোন বিজেপি’, অস্তিত্ব জানতে পোস্টার ‘আদি’দের

শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি এদিন বদলি সংক্রান্ত সরকারি সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেছেন মমতা। প্রাথমিকে ১০ হাজার ১৬৩ জনের আবেদন জমা পড়েছিল। ৬ হাজার ৪৬৬ জনকে নিজের জেলায় বদলি করা হয়েছে। সেকেন্ডারিতে ৫ হাজার ৫০২ জনের আবেদন জমা পড়েছিল, ৩ হাজার ৮৫২ জনের বদলির নির্দেশিকা জারি হয়ে গিয়েছে। মিউচুয়াল ট্রান্সফারের আবেদন জমা পড়েছিল ৪ হাজার ৫৯৪। এর মধ্যে ৯৮ শতাংশের আবেদন গ্রাহ্য হয়েছে। এই সংখ্যাতত্ত্ব তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন, রাজ্যে কর্মসংস্থানের ধারা অব্যাহত।