‘দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই’, রাজারহাটে লক আপে নিহত বিজেপি কর্মীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

Rajarhat Police Station: গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজারহাটের পুলিশ লক আপ মৃত্যু হয়েছিল সঞ্জয় হূল পাত্র নামে এক যুবকের।

'দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই', রাজারহাটে লক আপে নিহত বিজেপি কর্মীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
পুলিশের মারে থানাতেই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু বলে অভিযোগ (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2021 | 1:46 PM

কলকাতা: দেহে কোনও আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন নেই। রাজারহাট থানায় (Rajarhat Police Station) পুলিশের লক আপে মৃত যুবকের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তেমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজারহাটের পুলিশ লক আপ মৃত্যু হয়েছিল সঞ্জয় হূল পাত্র নামে এক যুবকের। এই অভিযোগে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজারহাট থানা চত্বর। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ, পথ অবরোধ চলে দিনভর। ওই যুবকের ময়নাতদন্ত হয় আরজিকরে হাসপাতালে।

তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, দেহের মধ্যে অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক কোনওরকম আঘাতের চিহ্ন নেই। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজারহাট থানার এসআই চন্দ্র নাথ বটব্যালকে ক্লোজ করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিধান নগর পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। রাজারহাট চাঁদপুরে দুয়ারে সরকারের (Duare Sarkar) ক্যাম্পে ব্যাপক ভিড় হয়। রাজ্যের নয়া প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) সুবিধা নিতে হাজির হওয়া বিশাল সংখ্যক মানুষের ভিড় সামাল দিতে কার্যত ব্যর্থ হয় প্রশাসন। সেই ভিড়কে কেন্দ্র করে ঠেলাঠেলি, গুঁতোগুঁতি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় রাজারহাট থানার পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় যুবক সঞ্জয়কে সেই লাইন থেকে মারধর করতে করতে পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।

অভিযোগ, থানায় পুলিশের মারে অসুস্থ হলে সঞ্জয়কে নিয়ে যাওয়া রেকজোয়ানী ব্লক হাসপাতালে। কিন্তু সেখান থেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকেরা। এর পর সঞ্জয়কে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুক্রবার রাজারহাট থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত তিনি।

পুলিশের তরফে অবশ্য অভিযোগ, বৃহস্পতিবার চাঁদপুর হাইস্কুলে দুয়ারে সরকার চলাকালীন চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষ মদ্যপ অবস্থায় হাজির হন সরকারি ক্যাম্পে। সেখানে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ ওঠে তাঁরা নামে। এদিকে থানায় পুলিশ তাঁকে মারতে মারতে নিয়ে আসে থানায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, সঞ্জয়কে থানার লকআপে মারধর করা হয়েছে।

পুলিশ কেন মারধর করল সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় এই মুহূর্তে রাজারহাট থানায় ঘেরাও করা হয়। এদিকে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন জানান, পুলিশের কাছে মৃতের পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। এর পর বিক্ষোভ আরও চরম আকার নেয়। ‘পুলিশ তুমি জবাব দাও’ বলে স্লোগান ওঠে। থানা ঘেরাও করে চলতে থাকে বিক্ষোভ। পরে ক্লোজ করা হয় কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে।

আরও পড়ুন: Bhabanipur By-Election: ‘মস্তান’ বলে আক্রমণ ফিরহাদের, অর্জুনের পাল্টা জবাব ‘ও তো আল কায়েদার লোক’!

আরও পড়ুন: ‘জরুরি প্রয়োজনে টাকার দরকার’, ফেসবুকে বার্তা! লাইভে এসে ধোঁয়াশা কাটালেন বিজেপি বিধায়ক