Kunal Ghosh on Partha: নিজেকে নির্দোষ বলতে পার্থর ৬ দিন সময় লাগল কেন? প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ

Kunal Ghosh on Partha: বৃহস্পতিবারই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলের সব পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে তৃণমূল। মন্ত্রীপদও সরানো হয়েছে।

Kunal Ghosh on Partha: নিজেকে নির্দোষ বলতে পার্থর ৬ দিন সময় লাগল কেন? প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ
কী বললেন কুণাল ঘোষ?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2022 | 1:26 PM

কলকাতা : হাসপাতালে যাওয়ার পথে সংবাদমাধ্যমের সামনে চিৎকার করে পরপর তিনবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রে শিকার।’ কিন্তু ষড়যন্ত্রের কথা বলতে কেন ৬ দিন সময় লেগে গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, সেই প্রশ্নই তুললেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি কুণাল ঘোষ। কুণালের মতে, কেউ নির্দোষ হলে, সেটা প্রথম প্রতিক্রিয়াতেই বলা উচিত। যদিও নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য আইনি লড়াই লড়ার সুযোগ পার্থ চট্টোপাধ্যায় পাবেন বলে উল্লেখ করেছেন কুণাল ঘোষ।

গত সপ্তাহে শনিবার গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। অর্থাৎ গ্রেফতারির পর শুক্রবার হল সপ্তম দিন। আদালতের নির্দেশ মতো এ দিন জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া প্রাক্তন মন্ত্রীকে। সেখানে যাওয়ার পথেই ষড়যন্ত্রের কথা বলেছেন তিনি। এ বিষয়ে TV9 বাংলার তরফে কুণাল ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে, তৃণমূলের মুখপাত্র বলেন, ‘দল যা বলার সবটাই আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলে দিয়েছে। দল যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়েছেন। এ বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই।’ তবে তাঁর বক্তব্য, মাঝে ৬ দিন সময় পেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিছু বলার থাকলে এতদিন বললেন না কেন? সেই প্রশ্নই তুলেছেন কুণাল ঘোষ।

কুণাল ঘোষ আরও বলেন, ‘যদি সত্যি কারও কিছু বলার থাকে, তাহলে তো সে প্রথম দিনেই বলবে। এতদিন চুপ করে থেকে, এখন বলাটা একটু অস্বাভাবিক। তবে তাঁর আইনে লড়ার অধিকার ১০০ বার থাকছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনও অন্যায় যদি কেউ না করে থাকেন, তাহলে প্রথম দিনই তো চিৎকার করে বলবেন, আমার সঙ্গে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, আমি নির্দোষ। সেটা বলতে যদি ৬ দিন, ৭ দিন সময় লাগে, তাহলে সাধারণের মনে প্রশ্ন উঠবে, এতদিন বলেননি কেন?’

এই প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘বাংলার মানুষ প্রতারণার শিকার হয়েছে, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকতে পারে না।’ তাঁর কথায়, ‘মানুষ ষড়যন্ত্রের শিকার।’ তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে থাকেন, তাহলে সেটা কার ষড়যন্ত্র, নাম বলার কথা বললেন সুজন। তাঁর দাবি, উনি দলের মহাসচিব ছিলেন, সরকারেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন, তাই তাঁর নাম সামনে আনা উচিত।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কুণাল ঘোষ টুইটে দাবি করেছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলের সব পদ থেকে ও মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হোক। যদিও পরে ব্যক্তিগত মত বলে ওই টুইট মুছে ফেলেন তিনি। পরে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়ে দেন, দলের সব পদ থেকে সরানো হচ্ছে পার্থকে।