Sandeshkhali Case: টিভি-৯ এর ক্যামেরা দেখেই গা ঢাকা, সন্দেশখালির জিয়াউদ্দিনের খোঁজ করতেই মেয়ে বলছে ‘বাবা বাড়িতে নেই’
Sandeshkhali Case: শনিবার দুপুরে যখন লাউখালি পৌঁছন টিভি-৯ বাংলার প্রতিনিধি, তার দশ মিনিট আগেই জিয়াউদ্দিন বাইকে চড়ে বেরিয়ে যান। ৫ জানুয়ারি শুক্রবার সরবেড়িয়ায় ইডি আধিকারিক ও সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর হামলার ঘটনায় দেখা গিয়েছিল এই জিয়াউদ্দিনকে।
সন্দেশখালি: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Case) ইডি’র উপরে হামলার ঘটনায় আটদিন পরে গ্রেফতার বলতে মাত্র দুই! ফুটেজ দেখে এই গ্রেফতারি বলে দাবি বসিরহাট জেলা পুলিশের। বিরোধীদের বক্তব্য, ফুটেজে তো লাউখালির পঞ্চায়েত প্রধান জিয়াউদ্দিন মোল্লাকেও দেখা গিয়েছে। তাহলে তাঁকে কেন ধরা হচ্ছে না! শনিবার জিয়াউদ্দিন মোল্লার খোঁজে টিভি নাইন বাংলা পৌঁছে গিয়েছিল লাউখালি। বাড়িতে জিয়াউদ্দিনের খোঁজ করার সঙ্গে সঙ্গে বড় মেয়ে নূরজাহান আড়াল থেকে জানালেন, বাবা বাড়ি নেই। এমনকী, মেয়ে হিসাবে নিজের পরিচয় না দিয়ে বললেন, তিনি কাজের মেয়ে!
বড় মেয়ে বলছেন, বাবা ঘটনার দিন থেকেই বাড়ি নেই। কিন্তু গ্রামের মানুষ কী বলছেন? শনিবার সকালেই গ্রামে এসেছিলেন জিয়াউদ্দিন। মাঝেমধ্যেই আসছেন। এমনই বলছেন গ্রামের লোকজন। যদিও মেয়ে সাফ বললেন, এর মধ্যে বাড়িতেই নাকি আসেননি জিয়াউদ্দিন। এই জিয়াউদ্দিনকে নিয়ে এখন জোর চর্চা চলছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
টিভি নাইন বাংলা শনিবার দুপুরে যখন লাউখালি পৌঁছয়, তার দশ মিনিট আগেই জিয়াউদ্দিন বাইকে চড়ে বেরিয়ে যান। ৫ জানুয়ারি শুক্রবার সরবেড়িয়ায় ইডি আধিকারিক ও সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর হামলার ঘটনায় দেখা গিয়েছিল এই জিয়াউদ্দিনকে। তিনি আবার শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিকাণ্ডে সাতদিনের মাথায় মেহবুর মোল্লা ও সুকমল সর্দার নামে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। যদিও ঘটনার দিন প্রায় ৩ হাজারের বেশি লোকজন হামলা করলেও মাত্র ২ জনকে কেন গ্রেফতার? তবে কি চাপের মুখেই এমনটা করল পুলিশ? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।