Left Front: সরকারি আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি বামফ্রন্টের
পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এবং রাজ্যের আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে যে আদালতও উষ্মা প্রকাশ করেছে, সে বিষয়টিও উল্লেখিত হয়েছে চিঠিতে। সেই সঙ্গে চার পাতার অভিযোগে ছত্রে ছত্রে পঞ্চায়েত ভোটে সরকারি কর্মী ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রশাসনিক আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিল রাজ্য বামফ্রন্ট। চার পাতার সেই চিঠিতে সরকারি আধিকারিক এবং পুলিশ অফিসারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এবং তা রুখতে পদক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। সদ্য সমাপ্ত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটে সরকারি আধিকারিকদের এবং পুলিশের ভূমিকাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করানো হয়েছে সেই চিঠিতে। এমন পরিস্থিতিতে ভোটার তালিকা সংশোধন, পরের বছরের লোকসভা ভোট এবং ধূপগুড়ির উপনির্বাচন যাতে জনগণের অধিকার সুরক্ষিত হয় তা নিশ্চিত করার আর্জি জানানো হয়েছে।
চিঠির শুরুতেই এ বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিভিন্ন ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়েছে। ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে বাম কর্মী সমর্থকদের উপর হামলার পর কোনও ব্যবস্থা প্রশাসন নেয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। রাজ্যের আধিকারিকরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন না বলেও অভিযোগ করা হয়েছে বামফ্রন্টের তরফে। সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনৈতিক কাজকে সামাজিকীকরণ করে দেওয়া- মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে রাজ্যবাসী অবহিত। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাসহ রাজ্যের আধিকারিকদের ভূমিকা- এই অভূতপূর্ব কাজের নিদর্শন এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যবাসী নতুন করে প্রত্যক্ষ করলেন।”
পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এবং রাজ্যের আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে যে আদালতও উষ্মা প্রকাশ করেছে, সে বিষয়টিও উল্লেখিত হয়েছে চিঠিতে। সেই সঙ্গে চার পাতার অভিযোগে ছত্রে ছত্রে পঞ্চায়েত ভোটে সরকারি কর্মী ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে বিচারালয়ে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মামলাগুলির কথা। অস্থায়ী ও চুক্তি ভিত্তিক কর্মীরা সরকার পক্ষের হয়ে কাজ করেন, সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। এই বিষয়ে লেখা হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গে স্থায়ীভাবে রাজ্য সরকারি কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে অসম্ভব ঘাটতি থাকায় নির্বাচনে বা ভোটার তালিকা তৈরির কাজে স্থায়ী কর্মচারীর অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা আনুগত্য ও রাজনৈতিক বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।”
সবশেষে এ বিষয়ে বামফ্রন্টের দেওয়া চিঠিতে লেখা হয়েছে, “রাজ্যের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আসন্ন ভোটার তালিকা সংশোধন এবং উপনির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনে সাধারণ ও পুলিশ আধিকারিকদের যুক্ত করার বিষয়ে আপনার এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই রাজ্যবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকারকে সুনিশ্চিত করতে পারে। আশা করি, সংবিধানের নির্দেশ অনুযায়ী আপনারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।”