BJP on Yusuf Pathan: পাঠান প্রার্থী হতেই BJP-র হাতে বড় হাতিয়ার! সুকান্তরা বললেন…

BJP on Yusuf Pathan: তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় সবথেকে বড় চমক হল ইউসুফ পাঠান। গুজরাটের বাসিন্দা, ভারতীয় জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটারকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে বহরমপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসন থেকে। আর প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই, তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে দিল বিজেপি।

BJP on Yusuf Pathan: পাঠান প্রার্থী হতেই BJP-র হাতে বড় হাতিয়ার! সুকান্তরা বললেন...
পাঠান প্রার্থী হতেই হাতিয়ার পেল বিজেপিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Mar 10, 2024 | 4:30 PM

কলকাতা: রবিবার (১০ মার্চ), ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। আর তালিকার সবথেকে বড় চমক হল ইউসুফ পাঠান। গুজরাটের বাসিন্দা, ভারতীয় জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটারকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে বহরমপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসন থেকে। আর প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই, তাঁর বিরুদ্ধে ‘বহিরাগত’ অভিযোগ তুলল বিজেপি। শুধু ইউসুফ পাঠানই নন, রাজ্য বিজেপির বহিরাগত আক্রমণের নিশানায় রয়েছেন কীর্তি আজাদও। তাঁকে তৃণমূল প্রার্থী করেছে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসন থেকে।

তৃণমূল প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পরই, বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “ভাইপো বলছে, পিসি বলছে মোদী বহিরাগত। তাহলে ইউসুফ পাঠান বহিরাগত নয় কেন? কোন যুক্তিতে? কীর্তি আজাদ তো দিল্লি-বিহারের লোক। বাঙালি পেল না নাকি? বাঙালিদের এত দুরবস্থা? তৃণমূল কংগ্রেস বাঙালি প্রার্থী পাচ্ছে না। আর মুখে সবসময় বাংলা-বাংলা করে যাচ্ছে। তৃণমূলের যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের সবাই দ্বিতীয় স্থান পাবেন, আগাম শুভেচ্ছা রইল। মন্ত্রী-বিধায়কদেরও প্রার্থী করতে হয়েছে। আমার বিরুদ্ধেও তো মন্ত্রীকে প্রার্থী হতে হয়েছে। এমন অবস্থা। বুড়ো বয়সে মন্ত্রীকে হারতে হবে। কী করার আছে?”

বিজেপি নেতা বিলীপ ঘোষও বলেছেন, “যারা বাংলা ও বাঙালি নিয়েএত বড় বড় কথা বলেন, গুজরাট থেকে কেউ এলে তাঁর বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেন, তাদেরকেও গুজরাট থেকে লোক আনতে হচ্ছে? ইউসুফ পাঠান, শত্রুঘ্ন সিনহা, কীর্তি আজাদ, এরা বাঙালির গর্ব? বাংলার থেকে লোক পাওয়া যাচ্ছে না? বাংলা থেকে গাঙ্গুলিবাবুর মতো যোগ্য লোক দাঁড় করালেও, এরা তাঁর বিরুদ্ধে পড়ে যান। আর এখন বাংলার বাইরে থেকে লোক আনছেন। এর মানে, তাদের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতাই নেই। বাঙালির মধ্যেও যোগ্য লোক খুঁজে পাচ্ছেন না।”

এদিন, কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের জনগর্জন সভা। গত বছর ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগে সাংসদ পদ খোয়ানো মহুয়া মৈত্রকেও ফের কৃষ্ণনগর থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। মিমি চক্রবর্তী আগেই জানিয়েছিলেন, রাজনীতিতে থাকতে চান না। যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তাঁর বদজলে প্রার্থী করা হয়েছে টলিউড ইন্ডাস্ট্রির আরেক অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে। প্রার্থী করা হয়েছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। হুগলী কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে তাঁকে।