Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

MAKAUT: ‘আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ…’, ছাত্রকে বিয়ে-বিতর্কে শাস্তির মুখে পড়েও সামাজিক মাধ্যমে স্ক্রিন শেয়ার করে স্বার্থকতা বোঝালেন অধ্যাপিকা

MAKAUT: যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সেই দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।  রিপোর্টে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে, “এটা ড্রামা বা প্রজেক্ট নয়।” জানা যাচ্ছে, অধ্যাপিকা পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি কমিটি পদক্ষেপ করবে। কিন্তু তারপরও সামাজিক মাধ্যমে এসে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানালেন অধ্যাপিকা পায়েল।

MAKAUT:  'আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ...', ছাত্রকে বিয়ে-বিতর্কে শাস্তির মুখে পড়েও সামাজিক মাধ্যমে স্ক্রিন শেয়ার করে স্বার্থকতা বোঝালেন অধ্যাপিকা
বিয়ে-বিতর্কImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2025 | 11:43 PM

কলকাতা: ক্লাসরুমের মধ্যে প্রথম বর্ষের ছাত্রের হাতে সিঁদুর পরে ‘বিয়ে করে’ বিতর্কে জড়িয়েছেন ম্যাকাউটের অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের প্রধান পায়েল বন্দ্য়োপাধ্যায়। প্রথম থেকেই তিনি দাবি করে এসেছিলেন, এটা ফ্রেশার্সের নাটকের একটি অংশ, যা ইচ্ছাকৃতভাবে ভাইরাল করা হয়েছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সেই দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।  রিপোর্টে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে, “এটা ড্রামা বা প্রজেক্ট নয়।” জানা যাচ্ছে, অধ্যাপিকা পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি কমিটি পদক্ষেপ করবে। কিন্তু তারপরও সামাজিক মাধ্যমে এসে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানালেন অধ্যাপিকা পায়েল।

তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছে, তাঁর স্বামী-সহ ঘনিষ্ঠ সকলকেই, যাঁরা তাঁকে প্রথম দিন থেকে সাপোর্ট করে এসেছেন। তাঁর দাবিকে মান্যতা দিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে সেই পোস্টের নীচে একটি ভিডিয়ো বার্তাও দিয়েছেন অধ্যাপিকা। মূলত সেই ভিডিয়োতে নিজে তাঁর ল্যাপটপের স্ক্রিন শেয়ার করে বুঝিয়েছেন, আদতে সাইকোড্রামা কী?

ভিডিয়ো বার্তার শুরুতে অধ্যাপিকাকে বলতে শোনা যাচ্ছে,  “যখনই বলা হয়, সাইকোলজিতে অনার্স পড়ছি, সাইকোলজিকে PhD করছি, তখনই বলা হয়, ও সাইকোলজি, ও তো পাগলের ডাক্তার! কেন? সাইকোলজিতে পিএইচডি করা মানে পাগলের ডাক্তার নয়। কেন এই সার্কেলের মধ্যে সীমিত করে রাখছি?”

ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর ক্লিপিংস প্রসঙ্গে পায়েল বলেন, ” একটা শব্দ খুব ব্যবহার হয়েছে, যাঁরা জানেন না আরকী, নন সাইকোলজি ব্যাক গ্রাউন্ড, তাঁদের জন্যই বলা, সাইকোড্রামা কী।”

এরপর তিনি স্ক্রিন শেয়ার করে গুগল সার্চ করে দেখান  সাইকোড্রামা কী। সেখানেও ‘রোল প্লেয়িং’ শব্দটি রয়েছে, তা উল্লেখ করেন। আর সেই ‘রোল প্লে’  যে নিজের সম্পর্কে আরও ভাল করে জানা-বোঝার জন্য, সেটাও গুগলের সাহায্যে বার্তা দেন তিনি! তিনি এও বলেন, “গুগলে গ্রুপ সেটিংয়ের কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা কী করি, গ্রুপটাকে বাদ দিয়ে একটা দুটো লোকের ক্লিপিংস নিয়েই ভাইরাল করা হল।”

এরপর তিনি গুগলে সার্চ করে এটাও দেখান, হাসপাতালে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়, রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। জেকব এল মোরেনোর তত্ত্বও তুলে ধরেন।

এরপর গুগলে সার্চ করা তাঁর তৃতীয় প্রশ্ন,  তাহলে বিয়ে কেন হল? বিয়ে কি সাইকোড্রামার পার্ট হতে পারে?  গুগুল সার্চ করে বুঝিয়ে দেন, ‘কমপ্লেক্স রিলেশনশিপ’ বোঝার ক্ষেত্রে এই ধরনের অভিনয় করা হয়। সেক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীর অভিনয়ও করা যেতে পারে।

তাঁর সার্চ করা সর্বশেষ প্রশ্ন, সাইকোলজিস্ট কি পার্ট হতে পারে? গুগলে উত্তর দেয়,
থেরাপিস্ট অভিনয় করে দেখাতে পারেন।

আর এসব বিষয়গুলো উল্লেখ করেই অধ্যাপিকা শেষে শুধু বলেন, “আপনাদের মাথাতেও যদি আরও কিছু প্রশ্ন আসে, তাহলে গুগল করে নেবেন। হাতে মোবাইল রয়েছে।”

যদিও অধ্যাপিকা প্রথমে বলেছিলেন এটা ফ্রেশার্সের নাটকের অংশ। যদিও  তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী TV9 বাংলাকে বলেন, “প্রাথমিক রিপোর্টটা আমার হাতে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন, এটা কোনও ড্রামা নয়, এটা কোনও সাইকো ড্রামা নয়, এটা কারিকুলামের যে পার্ট, তেমনও নয়। এটা নিছক একটা তামাশার জিনিস, সেটাই করেছেন উনি।” অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।