গঙ্গাসাগর যাচ্ছেন না মমতা, মেলার যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন নবান্ন থেকেই

তাঁর মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের পাশাপাশি মেলার দায়িত্বে থাকা প্রশাসনিক আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকেই সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী।

গঙ্গাসাগর যাচ্ছেন না মমতা, মেলার যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন নবান্ন থেকেই
গঙ্গাসাগর যাচ্ছেন না মমতা, মেলার যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন নবান্ন থেকেই
Follow Us:
| Updated on: Jan 04, 2021 | 8:42 PM

কলকাতা: আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা। চলবে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। করোনার কারণে খুব কম করে হলেও এ বছর মেলায় কমপক্ষে ৩০-৩৫ লক্ষের জনসমাগম হতে পারে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। যার চূড়ান্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এদিন নবান্ন সভাঘরে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যেখানে তাঁর মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের পাশাপাশি মেলার দায়িত্বে থাকা প্রশাসনিক আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকেই সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী।

চলতি বছর গঙ্গাসাগর মেলার জন্য কী কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা এদিনের বৈঠক থেকেই জানান মমতা। সকল পুণ্যার্থীদের পানীয় জলের জন্য ৫০ লক্ষ পাউচের ব্যবস্থা করা হবে। নামখানা রেল স্টেশন থেকে গঙ্গাসাগর যাওয়ার জন্য প্রায় ২৭০০ সরকারি-বেসরকারি বাস ব্যবস্থা থাকছে। এ বাদেও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, “১৮-২০ ঘণ্টা কার্গো ভেসল যেন চলে। কেউ যেন কারোর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে। কোনও পার্টি-পলিটিক্স করা যাবে না। উত্তেজনা যেন না হয়। এটা দেখতে হবে।”

ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বেচ্ছাসেবকদের সাহায্য নেওয়া হবে। এছাড়াও এক হাজারের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ২০টি ড্রোন দিয়ে ক্রমাগত নজরদারি চালানো হবে কন্ট্রোল রুম থেকে। যে কোনও জরুরি পরিস্থিতির জন্য ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সদস্যরা হাজির থাকবেন। তৈরি থাকবে ২১টি কুইক রেসপন্স টিম। সাহায্য নেওয়া হবে ১৪০টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রায় ৬০০০ স্বেচ্ছাসেবকের। গঙ্গাসাগর মেলার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক কর্মচারীর জন্য ৫ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনার বিমার ব্যবস্থাও করেছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন: আমার গুড় আমি আনব, সুব্রতদাকে দিলে পুরোটাই খেয়ে নেবে: মমতা

করোনার সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে হাওড়া-শিয়ালদা স্টেশনে তৈরি হচ্ছে আরটিপিসিআর টেস্টিং সেন্টার। এছাড়াও গঙ্গাসাগরের তৈরি করা হয়েছে ১১টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, পাঁচটি আইসোলেশন সেন্টার এবং ৬০০ বেডের কোভিড হাসপাতাল। যে কোনও জরুরি অবস্থায় সোজা গঙ্গাসাগর থেকে এয়ারলিফট করে রোগীকে কলকাতায় আনার ব্যবস্থাও থাকছে।

আরও পড়ুন: শোভন-বৈশাখীর ঘরে ঝুলল তালা! ছিঁড়ে দেওয়া হল নেমপ্লেট