মমতা-পিকের দীর্ঘ বৈঠক, নজরে দিল্লি নাকি সংগঠনে রদবদল! বাড়ছে জল্পনা
Mamata Banerjee Prashant Kishor: তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদে রদবদল এই বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য বিষয় হয়ে থাকতে পারে
কলকাতা: ভোটের পাট চুকে গেলেও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ বজায় রেখেছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। সূত্রের খবর, শুক্রবার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে দীর্ঘ একটি বৈঠক করেন তিনি। এই বৈঠকে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিলমোহর দেয়নি কোনও সূত্র। তবে মনে করা হচ্ছে, আসন্ন সময়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদে রদবদল এই বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য বিষয় হয়ে থাকতে পারে। একই সঙ্গে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটেও পিকে যেভাবে সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন, তাতে ২০২৪-এর রোডম্যাপও আজকের কথাপ্রসঙ্গে জায়গা পেয়ে থাকতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
সম্প্রতি এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন পিকে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই তিনিই তৃণমূলের হয়ে বাকি বিরোধী দলগুলির সঙ্গে যোগসূত্রের কাজ করছেন বলেও মনে করছেন জাতীয় রাজনীতির কারবারিদের একটি বড় অংশ। এই প্রেক্ষিতে মমতা-পিকে বৈঠক আলাদা গুরুত্বের দাবি রাখে।
এ ছাড়াও অন্য আরেকটি বিষয় নজরে রয়েছে। তা হল-তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে রদবদল। অতিসম্প্রতি দলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি চালু করেছেন মমতা। ফলে যে মন্ত্রীরা জেলা সভাপতির পদেও রয়েছেন, তাঁদের সেই পদ খোয়ানোর বড় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই নতুন রদবদলের ঘোষণাও করতে পারেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ফলে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রদের সংগঠনে গুরুত্ব কমতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন: মমতা বললেই নেত্রীর ‘নির্দেশ মেনে’ জেলে যেতে রাজি শুভেন্দু
পাশাপাশি তৃণমূল সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে জেলা সংগঠনের খোলনলচেও বদলে ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে নেতৃত্বের। যেহেতু লোকসভা নির্বাচনের আর ৩ বছর বাকি, তাই এখন থেকেই জেলা সংগঠনগুলিকে লোকসভার বিন্যাসে ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কেমন সেই বিন্যাস? উদাহরণস্বরূপ উত্তর ২৪ পরগনার কথা ধরা যাক। এই জেলায় বারাকপুর, দমদম, বারাসত, বনগাঁ-সহ আরও লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। বর্তমানে এই সব কেন্দ্রই তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সংগঠনের অন্তর্গত। ক্ষমতার বণ্টনের মাধ্যমে এ বার গোটা জেলা সংগঠনকে লোকসভা আসনের ভিত্তিতে ছোট ছোট জেলা সংগঠনে ভাগ করে দিতে পারে তৃণমূল। লোকসভার কথা মাথায় রেখেই লোকসভা কেন্দ্রিক সংগঠন গড়ে তোলার ভাবনা রয়েছে রাজ্যের শাসকদলের।
আরও পড়ুন: পিএসি-র মাথায় মুকুল, ফুঁসছে বিজেপি, বিধানসভায় আর কোনও কমিটিই চাই না শুভেন্দুদের