President Election: ‘মহিলা প্রার্থী হলে আমি সবসময় রাজি’, দ্রৌপদীতে ‘নরম’ মমতা

Mamata on Draupadi: মমতা বলেন, "আমি নিজে থেকে (প্রার্থী) প্রত্যাহার করতে পারব না। বিরোধীরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সবাই না বললে, আমি একা ফিরে আসা সম্ভব নয়।"

President Election: 'মহিলা প্রার্থী হলে আমি সবসময় রাজি', দ্রৌপদীতে 'নরম' মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দ্রৌপদী মুর্মু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 01, 2022 | 8:42 PM

কলকাতা : রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (West Bengal CM Mamata Banerjee) ফোন করেছিলেন এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (President Election Candidate Draupadi Murmu)। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মমতার সমর্থন চেয়েছিলেন ফোন করে। পাল্টা সৌজন্য জানিয়েছিলেন মমতাও। তবে শুক্রবার ইসকনের রথের উৎসবে দাঁড়িয়ে রাইসিনার রেস নিয়ে কিছুটা সুর নরম করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কি এবার তাহলে শেষ মুহূর্ত পিছু হটলেন মমতা? বললেন, “মহিলা প্রার্থী হলে আমি সবসময় রাজি। বিজেপি যদি আগে থেকে জানাত একজন আদিবাসী মহিলাকে প্রার্থী করছে, তাহলে আমরাও বিরোধী ১৬-১৭ টি দল মিলে চেষ্টা করতাম। বৃহত্তর স্বার্থে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম। তাহলে দেশের পক্ষে ভাল হত। একসময় এপিজে আবদুল কালামও হয়েছেন।”

মমতা আরও বলেন, “বিজেপি যখন আমাদের ফোন করেছিল, তখন শুধু আমাদের পরামর্শ জানতে চেয়েছিল। কিন্তু ওদের মত আমাদের জানায়নি। আমি নিজে থেকে (প্রার্থী) প্রত্যাহার করতে পারব না। বিরোধীরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সবাই না বললে, আমি একা ফিরে আসা সম্ভব নয়। আমি চাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে, সুন্দরভাবে হোক। দেশের উন্নতি হোক, সেটাই চাই।” পাশাপাশি, দ্রৌপদী মুর্মুর জয়ের সম্ভাবনা বেশি, সেই কথাও বলেন তিনি।

এই বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “উনি তো বিজেপিকে জিজ্ঞেস করেননি যে কাকে প্রার্থী করা হবে। কিংবা একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও বলেননি। উনি তো প্রথমে লাফ দিয়ে মিটিং করে সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘোষণা করে দিলেন। তখন কি বিজেপিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন? উনিই প্রথম এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তখনও দিনই ঘোষণা হয়নি। দ্বিতীয়ত তিনি তখনই জানতেন, তাঁর প্রার্থী জেতার কোনও সুযোগ নেই। এখন তো তাঁর সঙ্গীরাও একে একে চলে যাচ্ছেন দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষে। উনি জানেন হারবেন। অনেক ভয়ঙ্কর হার হারবেন। তাঁর নিজের পার্টির লোকেরাও ভোট দেবেন না। তা জানতে পেরেই এই সুর নরম করছেন।”

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এই মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছেন, তাই ভুল তথ্য দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গবাসীকে। আমরা সমস্ত দলের সঙ্গে আলোচনা করেছি, ওনার দলের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে। উনি তখন রাজি হননি। এখন বুঝতে পারছেন পরাজয় অবশ্যম্ভাবী এবং লেজে গোবরে হয়ে পরাজিত হবেন।”

কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী আবার এক হাত নিয়েছেন মমতাকে। বললেন, “নরেন্দ্র মোদীর থেকে হয়ত কোনও চাপ এসেছে। হয়ত মোদী দিদিকে বুঝিয়েছেন, এতে আপনার ভাল হবে। নাহলে দিদির এই পাল্টিবাজি করার তো কোনও মানে হয় না। সব জেনে শুনে তিনি প্রার্থী দিয়েছিলেন।”