Harassment Case: এম পি বিড়লা স্কুলের মধ্যেই ছিল নির্যাতনের অভিযোগ! প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস অভিযুক্ত

Kolkata POCSO Case: মামলা হয়েছিল ২০১৭ সালে। মাঝে চার বছর অতিক্রান্ত। সোমবার উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস দক্ষিণ কলকাতার এম পি বিড়লা স্কুলে যৌন হেনস্থার অভিযোগে অভিযুক্ত স্কুলেরই এক শিক্ষাকর্মী

Harassment Case: এম পি বিড়লা স্কুলের মধ্যেই ছিল নির্যাতনের অভিযোগ! প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস অভিযুক্ত
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 14, 2022 | 6:11 PM

কলকাতা : মামলা হয়েছিল ২০১৭ সালে। মাঝে চার বছর অতিক্রান্ত। সোমবার উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস দক্ষিণ কলকাতার এম পি বিড়লা স্কুলে যৌন হেনস্থার (Physical Harassment of Minor Girl) অভিযোগে অভিযুক্ত স্কুলেরই এক শিক্ষাকর্মী মনোজ কুমার মান্না। সোমবার তাকে বেকসুর খালাস করে দেয় আলিপুর পকসো (POCSO) আদালত। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিন বছরের এক শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। বেহালা থানায় ওই শিশুর পরিবারের তরফে এক এফআইআর দায়ের করা হয়। সেই দায়ের হওয়া এফআইআরের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে চার্জ শিট, এবং চার্জ গঠনের পর শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। সোমবার প্রায় চার বছর পর মামলায় বিচার পর্ব শেষ করে রায় জানাল আলিপুর পকসো আদালত।

অভিযোগ ছিল, স্কুলের মধ্যেই তিন বছর বয়সী ওই শিশু যৌন হেনস্থা করা হয়। ২০১৭ সালে যখন ঘটনাটি ঘটে তখন, এম পি বিড়লা স্কুলের লোয়ার কেজিতে পাঠরত ছিল ওই শিশু। পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল ১৪ জুলাই। ওই শিশু স্কুল থেকে ফেরার পর বার বার তার গোপনাঙ্গে হাত দিচ্ছি। ঘটনাটি নজরে এসেছিল তার মায়ের। প্রশ্ন করাতেই বেরিয়ে আসে আসল কারণ। ছোট্ট শিশু তার মাকে জানায়, ‘স্কুলের আঙ্কেল’ তার গোপনাঙ্গে হাত দিয়েছে। দেরি না করে, পরিবারের তরফে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। কিন্তু এখানেও অভিযোগ ছিল পরিবারের। অভিযোগ, অধ্যক্ষের কাছে গোটা বিষয়টি জানানোর পরেও স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চায়নি। উল্টে স্কুলের থেকে বলা হয়েছিল, হয়ত বাড়িতে বা পার্কে নির্যাতন করা হয়েছে শিশুকে।

এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর। ফের মেয়ে স্কুল থেকে ফেরার পর তার স্তনের উপর নখের দাগ দেখা যায়। পরে মেয়ের পোশাকে রক্তের দাগও দেখতে পান নির্যাতিতার মা। ফের অভিযোগ জানানো হয় স্কুলে। কিন্তু তখনও অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। উল্টে পড়ুয়াকেই মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে দাবি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর পুলিশি ব্যবস্থা নিয়েও বেশ কিছু ক্ষোভ ছিল পরিবারের। প্রথমে বেহালা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, পুলিশ সেই অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে অবশ্য সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যায়, শৌচালয় থেকে ছুটে বেরিয়ে আসছে পড়ুয়া। সেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পর অভিযোগ গ্রহণ করেছিল পুলিশ। মামলা দায়ের হওয়ার চার বছর পর অভিযুক্ত স্কুলকর্মীকে পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস দিল আদালত।

আরও পড়ুন : West Bengal Group C Jobs: বাংলায় চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বড় সুযোগ, হতে চলেছে গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগ

আরও পড়ুন : JEE Dates: জয়েন্ট এন্ট্রান্সের দিন বদল, উচ্চ মাধ্যমিক নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ল আরও