Manik Bhattacharya: মানিকের কোন জাদুবলে চাকরি পেয়েছেন ‘ভুয়ো’ পরীক্ষার্থীরা? এবার ইডির আতশকাচে বিএড কলেজগুলি
Manik Bhattacharya: ২০১৪ সালের টেট থেকে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। তাই ঘটনাক্রম মিলিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এমনটাই সূত্রের খবর।
কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি-র স্ক্যানারে রাজ্যের বেসরকারি বিএড কলেজের একাংশ। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ৫৩০টি বেসরকারি বিএড কলেজের সঙ্গে চুক্তি ছিল মানিকের ছেলে ও স্ত্রীর কোম্পানির। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পরিষেবা বাবদ কলেজগুলি ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় মানিকের ছেলের সংস্থাকে। এদিকে আবার টাকা দিয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের অনেকেই ওই সব বিএড কলেজের ছাত্র। ফলে বিষয়টি অত্যন্ত গভীর, তেমনই বলছেন তদন্তকারীরা। ২০১৩ সাল থেকে রাজ্যে বেসরকারি কলেজের রমরমা। ২০১৪ সালের টেট থেকে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। তাই ঘটনাক্রম মিলিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এমনটাই সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই কিছু বি এড কলেজ কর্তৃপক্ষকে তলব করছে ইডি।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যে ৬৬১টি বেসরকারি বিএড কলেজ রয়েছে। তার মধ্যে ৫৩০টি কলেজের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ও ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যের কোম্পানির চুক্তি হয়েছিল। মূলত বেসরকারি বিএড কলেজগুলির সংস্থা অর্থাৎ ‘বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশন’-এর সঙ্গে মানিকের ছেলের কোম্পানির চুক্তি হয়।
ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ‘১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৫৩০টি কলেজ ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা দিয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের কোম্পানিকে। অভিযোগ ওঠে, টাকা দেওয়ার পরও সেরকম কোনও পরিষেবা দেওয়াই হয়নি। এই বিষয়টি আগেই ইডি আদালতে উল্লেখ করেছিল। এই লেনদেনের বিষয়টা নিয়ে খতিয়ে দেখতেই তদন্তকারীদের হাতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসছে, যে সমস্ত পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছিলেন অথচ পরবর্তীকালে তাঁরা চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ, তাঁদের একটা বড় অংশই এই সমস্ত বেসরকারি বিএড কলেজ থেকে ডিগ্রি পেয়েছেন। সেখান থেকেই একটা যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, বেসরকারি বিএড কলেজগুলোর সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল মানিকের ছেলের কোম্পানির সেটা আসলে ভুয়ো। তার আড়ালেই হয়েছে দুর্নীতি। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের বেশ কয়েকটি বিএড কলেজকে চিহ্নিত করা হয়েছে।