Manik Bhattacharya: নির্বাচন কমিশনে দেওয়া সম্পত্তির হিসেব ‘ভুল’! ED-কে ঘোল খাওয়াচ্ছেন আইনে ‘ডক্টরেট’ মানিক?

Manik Bhattacharya: মানিক ভট্টাচার্য তদন্তে সহযোগিতা করছে না বলেই দাবি ইডি-র। সম্পত্তির হিসেবও ভুল দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

Manik Bhattacharya: নির্বাচন কমিশনে দেওয়া সম্পত্তির হিসেব 'ভুল'! ED-কে ঘোল খাওয়াচ্ছেন আইনে 'ডক্টরেট' মানিক?
মানিক ভট্টাচার্য
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 13, 2022 | 5:50 PM

কলকাতা : মানিক ভট্টাচার্য শুধুমাত্র প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিই নন, তিনি তৃণমূলের অন্যতম বিধায়ক। নদিয়ার পলাশীপাড়ার বিধায়ক তিনি। বিধায়ক হওয়ার আগে নিয়ম মেনে নির্বাচন কমিশনে সম্পত্তির হিসেব দিতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দাদের হাতে যে তথ্য এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, কমিশনে দেওয়া সেই হিসেব সঠিক নয়। ইডি-র দাবি, কমিশনে নিজের সম্পত্তি ২ কোটি টাকার কিছু বেশি বলে উল্লেখ করলেও, আসলে মানিকের সম্পত্তি তার থেকে অনেক বেশি। আর সে কথা আদালতে কেস ডায়েরিতেও জানিয়েছে ইডি। ইডি-র অভিযোগ, কমিশনে ভুল তথ্য দিয়েছেন মানিক।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সদ্য মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছে ইডি। সেই মামলায় মানিকের সম্পত্তি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। আদালতে ইডি যে তথ্য পেশ করেছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, মানিকের ছেলের সংস্থার অ্যাকাউন্টেই রয়েছে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা। আর নির্বাচন কমিশনে মানিক যে হলফনামা দিয়েছিলেন, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, মানিকের মোট সম্পত্তি ২ কোটি ৩ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকার।

উল্লেখ্য, হলফনামায় নিজেকে পেনশনভোগী বলেই উল্লেখ করেছেন মানিক। সেইসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি হিসেবে পেতেন সাম্মানিক। এ ছাড়া তাঁর একটি সিনিয়র সিটিজেন স্কিম করা ছিল, যা থেকে টাকা পেতেন বলেও জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় মানিক জানিয়েছেন, যাদবপুরে তাঁর দুটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। রয়েছে ব্যাঙ্কে কিছু জমানো টাকা।

কমিশনে দেওয়া হিসেবের বাইরে মানিকের যা সম্পত্তি, সেটার সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির যোগ আছে কি না, সেটাই খতিয়ে দেখছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, অনেক কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। আর সেই কাজ নিজেই করতেন মানিক। বেনামে অনেক সম্পত্তি রয়েছে বলেও দাবি গোয়েন্দাদের।

তবে ইডি-র জেরার মুখে এখনও ঝেড়ে কাশছেন না মানিক, বরং দুঁদে গোয়েন্দাদেরও ঘোল খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ। ইডি আদালতে জানিয়েছে, বারবার তথ্য গোপন করছেন মানিক। জেরায় সবটা স্বীকার করছেন না। মনে রাখা দরকার, একদিকে যেমন মানিক কমার্স বা বাণিজ্যের ছাত্র, অন্যদিকে, আইনেও পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। তাই টাকা-পয়সার হিসেব যেমন তিনি ভাল বোঝেন, আইনের মারপ্যাঁচও তাঁর অজানা নয়। তবে ইডির তদন্তকারীদের দাবি, এ ভাবে চলতে থাকলে আদালতে অসহযোগিতার অভিযোগ জানানো হতে পারে মানিকের বিরুদ্ধে।