Manik Bhattacharya: ‘কলঙ্কিত মনে হচ্ছে, আমার লাইফে কিছু নেই’, আদালত থেকে বেরিয়ে ভেঙে পড়লেন মানিক
Recruitment Scam: মানিক ভট্টাচার্য বলতে শোনা যায়, "কলঙ্কিত মনে হচ্ছে।" দ্বিতীয়বার বলেন, "আমার লাইফে কিছু নেই।"
কলকাতা: বুধবার মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) আদালতে পেশ করা হয়েছিল। পিএমএলএ আদালতে (PMLA Court) সশরীরে পেশ করা হয়েছিল মানিককে। আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন মানিকের স্ত্রী-পুত্রও। তাঁরা জামিনের জন্য আবেদন করেন। তবে ইডির (Enforcement Directorate) তরফে আইনজীবী জানান, মানিক-সহ বাকিদের শুনানির জন্য ইডি আজ প্রস্তুত নয়। আইনজীবী বিচারককে একথা জানালে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আর এরপরই আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে নিজের আইনজীবীদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় মানিক ভট্টাচার্যকে। জামিনের আবেদন করায় ক্ষোভপ্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। তখন তাঁকে বলতে শোনা যায়, “কলঙ্কিত মনে হচ্ছে।” দ্বিতীয়বার বলেন, “আমার লাইফে কিছু নেই।”
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে, তাতে নাম রয়েছে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও তাঁর ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যর। সেই চার্জশিটের ভিত্তিতে আদালতের তরফে সমন পাঠানো হয়েছিল তাঁদের এবং সেইমতো তাঁদের এদিন আদালতের সামনে হাজির হতে হয়েছিল। আদালতে তাঁরা জামিনের আবেদন করেছিলেন, কিন্তু তার বিরোধিতা করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, যে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে, তার একটি অংশ মানিকের স্ত্রী ও ছেলের অ্যাকাউন্টেও গিয়েছে বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এমন অবস্থায় কার্যত ভেঙে পড়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মাথায় বসেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, শাসকদলের একজন বিধায়কও মানিকবাবু। অতীতে রাজনৈতিকভাবে সেভাবে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা না গেলেও, বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর নাম উঠে আসতেই মানিককে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। এবার স্ত্রী-পুত্রকেও আদালতে আসতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় কি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন মানিক? এদিন আদালত থেকে বেরিয়ে মানিকের যে কথা শোনা গেল, তাতে অন্তত সেরকমই মনে হচ্ছে।