Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Medicine: ৭০:৩০ অনুপাত! একটা বাক্সে আসল ওষুধের সঙ্গেই মেশানো হচ্ছে নকল ওষুধের পাতা, কীভাবে চিনবেন? স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলে দিলেন উপায়

Medicine: ড্রাগ কন্ট্রোলের এক আধিকারিক বলেন, "যখন ওষুধের গায়ের কিউ আর কোড স্ক্যান করা হচ্ছে, তখন দেখাচ্ছে, 'ডাজ় নট ম্যাচ অ্যানি ডকুমেন্টস'। সবগুলো নয়। একটা বাক্সে ১০টা স্ট্রিপ থাকলে, ২ বা ৩ টে স্ট্রিপ এরকম আসছে।"

Medicine: ৭০:৩০ অনুপাত! একটা বাক্সে আসল ওষুধের সঙ্গেই মেশানো হচ্ছে নকল ওষুধের পাতা, কীভাবে চিনবেন? স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলে দিলেন উপায়
ড্রাগ কন্ট্রোল আধিকারিকদের হানাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 26, 2025 | 12:48 PM

কলকাতা: প্রেশার, সুগার, অ্যান্টাসিট থেকে শুরু করে অ্যান্টিবায়োটিক- আসলের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে ৩০ শতাংশ জাল ওষুধ। কলকাতার চারটি ওষুধের কারখানায় হানা রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের। বাজেয়াপ্ত অন্তত ২০ লক্ষ টাকার সন্দেহজনক ওষুধ। এখনও বাজারে ছড়িয়ে কত টাকার জাল ওষুধ, তা নিয়েই উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।

রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকের হানায় যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। ‘আসল’ ওষুধের বাক্সের মধ্যেই মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘নকল’ ওষুধ। বিভিন্ন নামী কোম্পানির ওষুধ জাল হচ্ছে বলে খবর। তদন্তকারীদের চোখে ধূলো দিতে ৭০:৩০ অনুপাতে মেশানো হচ্ছে ওষুধ। অর্থাৎ একটা বাক্সের মধ্যে যদি ১০টা পাতা থাকে, তাহলে ৭ টা আসল, ৩ টে জাল।

মঙ্গলবার এক যোগে রাজ্যের চারটি ওষুধের কারখানায় হানা দেন রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা। মেহতা বিল্ডিং, গিরিয়া ট্রেড সেন্টার, গাঁধী মার্কেট, বাগরি মার্কেটে দিনভর চলে তল্লাশি। যখন তাঁরা হানা দিয়েছেন, তখন তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন TV9 বাংলার প্রতিনিধিও। তাতেই TV9 বাংলার ক্যামেরায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর ছবি।

ড্রাগ কন্ট্রোলের এক আধিকারিক বলেন, “যখন ওষুধের গায়ের কিউ আর কোড স্ক্যান করা হচ্ছে, তখন দেখাচ্ছে, ‘ডাজ় নট ম্যাচ অ্যানি ডকুমেন্টস’। সবগুলো নয়। একটা বাক্সে ১০টা স্ট্রিপ থাকলে, ২ বা ৩ টে স্ট্রিপ এরকম আসছে।” যেমন TV9 বাংলার ক্যামেরার সামনেই আধিকারিক ওই একই বাক্স থেকে আরেকটা স্ট্রিপ তুলে স্ক্যান করে দেখলেন, সেটা আসল। যে ওষুধের স্ট্রিপগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, সেগুলো পুনরায় যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হবে বলে জানান আধিকারিকরা।

ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরাই বলছেন, “অথোরাইজড স্টকিস্ট কিংবা অথোরাইজড ডিলারের কাছ থেকেই ওষুধ কিনুন। সেটা এখন আমরা ইনটিমেশন দিয়ে যাচ্ছি। কল ব্যাক নোটিস দেওয়া হবে।” আধিকারিকদের পরামর্শ, “আপনারা অনলাইনে ওষুধ কিনবেন না, যেখানে বেশি ডিসকাউন্ট পাওয়া যাচ্ছে, সেখান থেকে কিনবেন না। পরিচিত দোকান থেকে কিনুন, ক্যাশ মেমো সব সময়েই নেবেন। ক্যাশ মেমো লেখা ব্যাচ নম্বরের সঙ্গে ওষুধের বাক্সের ওপর লেখা ব্যাচ নম্বর মিলছে কিনা, মিলিয়ে দেখবেন।”

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সন্দেহজনক ওষুধ বাজেয়াপ্ত হল বটে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতারি হল না কেন?

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ওষুধ কেনার আগে, সেই দোকানের ড্রাগ লাইসেন্স রয়েছে কিনা, সেটাও যাচাই করে নিতে হবে। সন্দেহ হলেই অভিযোগ জানান স্বাস্থ্য দফতরের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ৭৯০৮০৭৭৬১৫। অথবা মেইল করুন  prosecutionandcomplaintcell@gmail.com