Mohammed Salim: এদের জীবনের বড়দিন যারা কেড়ে নিয়েছে, তাদের যেন সর্বনাশ হয়: সেলিম
Mohammed Salim: আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে পৌঁছে যান সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন মঞ্চে ঘুরলেন তিনি। কথা বললেন তাঁদের সঙ্গে।
কলকাতা: বড়দিনের উৎসবে সামিল গোটা শহর। কিন্তু ওদের জীবনে এখন বড়দিনের আনন্দ নেই। ওদের কানে গির্জার ঘণ্টার শব্দ পৌঁছায় কি? ক্যারলের মিষ্টি সুর ওদের কানেও কি বাজছে? উত্তর জানা নেই। কারণ, ওদের কানে বাজছে শুধুই বেকারত্বের কান্না। কথা হচ্ছে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে। বড়দিনেও তাঁদের জীবনে কোনও বদল নেই। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে হোক বা মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশ… গোটা শহর যখন বড়দিনের আনন্দে মাতোয়ারা, ধর্মতলার ধর্নাতলায় শুধুই বিষাদের ছায়া আর সতীর্থদের কান্নার আওয়াজ। কোনও ব্যতিক্রম নেই আজও। ওদের বড়দিনে আলোর রোশনাই নেই। আঁধারের অন্তরালেই রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এদিন সেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে পৌঁছে যান সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন মঞ্চে ঘুরলেন তিনি। কথা বললেন তাঁদের সঙ্গে। আন্দোলনের ধার বাড়িয়ে আরও শক্তিশালী হওয়ার বার্তা দিলেন।
গোটা শহর যখন ফেস্টিভ মুডে, তখন ধর্নামঞ্চে ঠাঁয় বসে আন্দোলনকারীরা। কারও সঙ্গে রয়েছে কোলের সন্তানও। ছোট্ট শিশুকে সঙ্গে নিয়েই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন তাঁরা। মহম্মদ সেলিম এদিন তাঁদের জন্য কিছু কেক নিয়ে এসেছিলেন। সেই কেকগুলি আন্দোলনকারীদের সন্তানদের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেন তিনি। সবরকমভাবে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন সেলিম। সিপিএম রাজ্য সম্পাদককে পাশে পেয়ে আন্দোলনকারীরাও নিজেদের কথা তুলে ধরেন।
টিভি নাইন বাংলাকে মহম্মদ সেলিম জানান, “আমি তো সান্টাক্লজ নই। কোনও সান্টাক্লজও এখানে আসছে না। নাহলে সান্টাক্লজ ব্যাগভর্তি নিয়োগপত্র এনে দিত। যাঁদের নিয়োগ দেওয়ার কথা, তাঁরা টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করেছে, জেলে যাচ্ছে, তাও লজ্জা নেই। আর এরা পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে, তাও চাকরি হচ্ছে না।”
নতুন বছরে কি পরিস্থিতি বদলাবে বলে মনে করছেন সেলিম? টিভি নাইন বাংলার প্রশ্নের উত্তরে বললেন, “পরিস্থিতির বদল তো মানুষ ঠিক করবে। কিন্ত আজ বড়দিনে এখানে এসেছি, যাতে এদের জীবনের বড়দিন যারা কেড়ে নিয়েছে, তাদের যেন সর্বনাশ হয়। আমি তো সান্টাক্লজ নই। তাহলে তো ব্যাগভর্তি নিয়োগপত্র নিয়ে আসতাম।”