Recruitment Scam: ৩৫০ কোটি! পুরুলিয়ার ছোট টিলা থেকে দুর্নীতি এখন এভারেস্টের চূড়ায়: আদালতে ED

Recruitment Scam: ইডির আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, দুর্নীতির টাকার অঙ্ক ক্রমেই বেড়ে চলছে। ১১১ কোটি টাকা থেকে তা পৌঁছে গিয়েছে ৩৫০ কোটি টাকায়। এই টাকার অঙ্ক আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান ইডির আইনজীবী।

Recruitment Scam: ৩৫০ কোটি! পুরুলিয়ার ছোট টিলা থেকে দুর্নীতি এখন এভারেস্টের চূড়ায়: আদালতে ED
গ্রাফিক্স - টিভি নাইন বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 13, 2023 | 5:34 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Shantanu Banerjee) সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। শান্তনুকে ১১ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। ইডির আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, দুর্নীতির টাকার অঙ্ক ক্রমেই বেড়ে চলছে। ১১১ কোটি টাকা থেকে তা পৌঁছে গিয়েছে ৩৫০ কোটি টাকায়। এই টাকার অঙ্ক আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান ইডির আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘পুরুলিয়ার ছোট টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়।’

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গেও বেশ কিছু তথ্য এদিন আদালতে পেশ করেন ইডির আইনজীবী। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ও যে যথেষ্ট প্রভাবশালী ছিলেন, তা বোঝানোর জন্য চেষ্টা করেন ইডির আইনজীবী। তিনি আদালতে জানান, ‘৬ লাখ টাকা বেতন পেতেন তিনি। ফ্যামিলি কোম্পানি গড়ে প্রতারণা করা হয়েছিল। ২ জন পিএসও পোস্ট করা হয়েছে ওনার বাড়িতে। ইডি যখন অভিযান চালায়, তখন দুইজন সরকারি অফিসার ওনার বাড়িতে ছিলেন। তাঁরা কী করছিলেন? একজন এনআইএ বিচারকের বাড়ির সামনে একজন পিএসও থাকেন। সেখানে শান্তনুর বাড়িতে দুই জন পিএসও। এর থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে উনি কতটা প্রভাবশালী।’ এর পাশাপাশি ২০১৫ সালে সামান্য মোবাইল ব্যবসায়ী থেকে কীভাবে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠলেন শান্তনু, সেই নিয়েও প্রশ্ন ইডির আইনজীবীর।

ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, শান্তনু দুটি আইফোন ব্যবহার করেন। সেগুলি থেকে প্রচুর নথি ও অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার হয়েছে। যাঁদের অ্যাডমিট কার্ড ছিল, তাঁরা চাকরি পেয়েছেন। বাকি যে ৩০০ জনের লিস্ট উদ্ধার হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কারা কারা চাকরি পেয়েছে তা জানার জন্য ডিপার্টমেন্টের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।

পাল্টা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীর প্রশ্ন করেন, কেন তাঁর মক্কেলকে ৬দিন বাদে গ্রেফতার করা হল। যদি গ্রেফতার করারই হতো তাহলে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের শুরুতেই কেন গ্রেফতার করা হল না। যদিও বিচারক শান্তনুর আইনজীবীকে বলেন, ‘কবে গ্রেফতার করবে, সেটা আপনাদের বলতে হবে না। এক দিনে করবে নাকি ৫০ দিনে করবে সেটা তদন্তকারী অফিসার বুঝবেন।’