করোনায় মৃতের দেহ পুড়ছে দিনভর! নন-কোভিড দেহ পোড়াতে এবার জোড়া চুল্লি
মৃতের (COVID-19) পরিজনদের যাতে ডেথ সার্টিফিকেট পেতে সমস্যা না হয়, সেদিকেও নজর রাখছে দফতর।
কলকাতা: অতিমারির (COVID-19) জেরে মৃত্যুমিছিল। নিভছে না শ্মশানের চুল্লি। পরিষেবা যাতে ভেঙে না পড়ে, তার নজরদারিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে নন কোভিড মৃতদেহ সৎকারের জন্য রাজারহাট নিউটাউনে তৈরি হচ্ছে জোড়া চুল্লি।
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মৃতের সংখ্যা রোজই বাড়ছে। তার জেরে জ্বলছে অনির্বাণ চিতা। কবরে নতুন দেহ সমাহিত করার জায়গা বাড়ন্ত। মৃত্যুর পর সৎকারের পরিকাঠামো ঠিকঠাক রাখা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এই পরিকাঠামো যাতে ভেঙে না পড়ে, তার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ৩৬ ঘণ্টায় ১২ লক্ষের বিল! করোনায় মৃতের পরিবারের কপালে হাত
রাজ্যের ১২৪টি পুরসভার জন্য তৈরি হয়েছে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। তাতে আছেন পুর ও নগরোন্নয়ন এবং পূর্ত দফতরের কর্তারা। কমিটিতে থাকছেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকের প্রতিনিধি। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত নির্দেশ পুর দফতর পৌঁছে দিয়েছে জেলাগুলিতে।
কোভিডে দেহ সৎকারের চাপ থাকায় নন-কোভিডের জন্য আলাদা চুল্লি তৈরি করা হচ্ছে। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব নেওয়ার পর মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রথম বৈঠকেই এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজারহাট-নিউটাউনে গড়ে উঠবে জোড়া চুল্লি। ইতিমধ্যেই জমি খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে বলে পুর দফতর সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় সামান্য কমল বাংলার সংক্রমণ, উদ্বেগ বহাল মৃত্যু হারে
মৃতের পরিজনদের যাতে ডেথ সার্টিফিকেট পেতে সমস্যা না হয়, সেদিকেও নজর রাখছে দফতর। রাজ্যে এখন চুল্লি বাড়ন্ত হওয়ায় এক পুরসভার মৃতদেহ অন্য পুর এলাকার ঘাটে দাহ করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে অন্য এলাকা থেকে একটি প্রাথমিক ডেথ সার্টিফিকেট নিচ্ছেন মৃতের পরিজনরা। তারপর মৃতের ঠিকানা অনুযায়ী চূড়ান্ত ডেথ সার্টিফিকেট সংশ্লিষ্ট পুরসভা থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বলে পুর দফতর সূত্রে খবর।