Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বাড়িতে ফোন করে বলেছিলেন ‘আমাকে নিয়ে যা…’! তারপরই মৃত্যু

এলাকার বাসিন্দাদের দাবি দীর্ঘক্ষণ দরজা- জানালা বন্ধ করে রাখা হত ওই রিহ্যাব সেন্টারে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি চিকিৎসার নামে অন্য কিছু করা হত?

বাড়িতে ফোন করে বলেছিলেন 'আমাকে নিয়ে যা...'! তারপরই মৃত্যু
মৃত পার্থ রাহা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 14, 2021 | 5:21 PM

কলকাতা: দু’দিন আগেই লুকিয়ে বাড়িতে ফোন করেছিলেন। ভাইকে বলেছিলেন, সেখান থেকে যাতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেই মতো তাঁকে নিতে আসার কথা ছিল ভাইয়ের। আর তার আগেই রিহ্যাব সেন্টারে মৃত্যু হল পার্থ রাহা নামে এক যুবকের। নিমতা রিহ্যাব সেন্টারে ঘটনাটি ঘটে।  ৪৯ বছর বয়সী পার্থ চিকিৎসার জন্য কিছুদিন আগে ওই রিহ্যাব সেন্টারে আসেন। আর সেখানে তাঁকে প্রায়ই মারধর করা হত বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। পার্থ নামে ওই যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

নিমতার পাইকপাড়ার সুদৃষ্টি দর্শন রিহ্যাব সেন্টারে ছিলেন পার্থ রাহা। তিনি বিরাটির কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা। মৃতের ভাইয়ের অভিযোগ, গতকাল রাতে তাঁর দাদাকে পিটিয়ে মারা হয় ওই রিহ্যাব সেন্টারে। মৃতের ভাই জানিয়েছেন, তাঁর দাদাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সেই মতো প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। আর তার মধ্যে  রিহ্যাব সেন্টার থেকে খবর আসে। জানানো হয় তাঁর দাদা মাথায় আঘাত পেয়েছে। আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে পানিহাটি ঘোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে যান পার্থবাবুর ভাই। হাসপাতালে পৌঁছেই জানতে পারেন তাঁর দাদার মৃত্য হয়েছে।

তাঁর অভিযোগ, তাঁর দাদা দু’দিন আগে রিহ্যাব সেন্টার থেকে তাঁকে লুকিয়ে ফোন করেছিলেন। তাঁকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। সেই মত তিনি গতকাল দাদাকে নিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পার্থবাবুর ভাইয়ের দাবি, বাড়ি ফেরার কথা জানতে পেরে গিয়েছিল রিহ্যাব সেন্টারের মালিক অপু। সেটা মেনে নিতে না পেরে তাঁর দাদাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিবারের তরফে আরও জানানো হয়েছে, পার্থ রাহার মাথায় ও গলার পিছন দিকে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

অন্যদিকে, এলাকার বাসিন্দারা বলছেন রিহ্যাবে প্রায়শই দরজা-জানালা বন্ধ রাখা হত। অনেকেই চিকিৎসা করাতে আসতেন এখানে, কিন্তু বাইরে থেকে কারও কোনও আওয়াজ পাওয়া যেত না। নেশাগ্রস্ত বা মানসিক বিকারগ্রস্ত মানুষজন এখানে থাকতেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখার কারণ কী? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আরও পড়ুন: ‘লম্বা ছুটি কাটাতে যাচ্ছি’, কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে কীসের ইঙ্গিত দিলেন দিলীপ?