Meeting in Nabanna: ভূমি দফতরে কড়া নজর, জরুরি বৈঠক বসছে নবান্নে

Meeting in Nabanna: আগেই বিশেষ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটির কাছ থেকেই রিপোর্ট নিচ্ছে নবান্ন। এবার বৈঠকে দফতরের কাজ নিয়ে হবে আলোচনা।

Meeting in Nabanna: ভূমি দফতরে কড়া নজর, জরুরি বৈঠক বসছে নবান্নে
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 29, 2022 | 1:07 PM

কলকাতা: ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করার পর থেকেই তৎপর হয়েছে নবান্ন। দফতরের কাজে নজরদারির জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে আগেই। এবার জমি সমস্যা নিয়ে ডাকা হল জরুরি বৈঠক। রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসক ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকদের ডাকা হয়েছে সেই বৈঠকে। আগামী ৬ জুলাই সেই বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যসচিব। সেখানে নতুন কিছু পলিসি ঠিক করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

জুন মাসে এক প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জমির মিউটেশন সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এরপরই তৈরি হয় কমিটি। সেই কমিটি তৈরি হওয়ার পর কাজ কী ভাবে এগোচ্ছে, এ সব নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনার সম্ভাবনা থাকছে।

ভূমি দফতরের আধিকারিকদের কাজে বিস্তর ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কী ভাবে বিএলআরও অফিস সাধারণ মানুষকে ঘোরাচ্ছে? কী ভাবে বিএলআরও অফিসের বাইরের দুটো দোকানে দালালরাজ চলছে? সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এরপরই ভূমি দফতরে বড়সড় পরিবর্তন আসে। নীচুতলার কর্মীদের কাজে নজরদারির ব্যবস্থা করে নবান্ন। ব্লক স্তরের সেই কমিটির মাথায় রাখা হয়েছে বিডিও, স্থানীয় থানার ওসি ও বিএলআরও-কে। ঠিক হয়, এই কমিটি বিএলআরও অফিসের কাজের রিপোর্ট সময়ে সময়ে নবান্নে পাঠাবে, সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে নবান্ন।

মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের পরেই মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এবার ফের বৈঠক ডাকলেন তিনি।

উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর কোনও প্রশাসিক বৈঠকে ভূমি দফতরের কোনও আধিকারিক থাকতেন না। তবে মঙ্গলবার এক বিশেষ নির্দেশ এসেছে নবান্নের তরফ থেকে। বুধবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।  ওই বৈঠকেই ভার্চুয়ালি সব জেলার জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলার ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার ও জেলা শাসকদেরও ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভূমি দফতরে নজর দেওয়া হয়েছে বলেই নবান্নের এমন সিদ্ধান্ত।