Calcutta High Court : ২০১৮ সালের পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন অবৈধ, অ্যাড হক কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
Calcutta High Court : হাইকোর্ট জানিয়েছে, নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের দায়িত্ব থাকবে অ্যাড হক কমিটি। এই কমিটির ক্ষমতা নিয়েও স্পষ্ট নির্দেশিকা দিয়েছেন বিচারপতি।
কলকাতা : মৃত চিকিৎসকদের নাম ভোটার তালিকায়। ভোটারদের ব্য়ালট পেপারহীন ফাঁকা খাম পাঠানো। ২০১৮ সালের পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। এই নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। আজ হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ২০১৮ সালের ওই নির্বাচনকে অবৈধ বলে জানিয়ে দিলেন। একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন সংঘটিত করতে অ্যাড হক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন ঘিরে একাধিক অভিযোগ ওঠে। তার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েকজন চিকিৎসক। মামলাকারীদের বক্তব্য, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়নি। ফলে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় মৃত চিকিৎসকদেরও নাম রয়ে গিয়েছে। ব্যালট পেপারহীন ফাঁকা খামও পাঠানো হয় চিকিৎসকদের। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। ফলে ভোট হলেও ফল ঘোষণা হয়নি।
আজ হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ওই নির্বাচনকে অবৈধ বলে জানিয়ে দিলেন। নতুন করে নির্বাচনের জন্য অ্যাড হক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলেন তিনি। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ১ অগস্ট থেকে অ্যাড হোক কমিটি ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের দায়িত্ব নেবে। অক্টোবরের মধ্যে নতুন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। নভেম্বরে দায়িত্ব নেবে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের নতুন কমিটি।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত অ্যাড হক কমিটি শুধুমাত্র আর্থিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে। চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল বা অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে না।
২০১৮ সালে নির্বাচনের উপর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ার ফলে কোনও কমিটি গঠন করা যায়নি। ফলে তার আগের কমিটিই এতদিন পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের দায়িত্ব পালন করে আসছিল। আর সেই কমিটির সভাপতি ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা চিকিৎসক নির্মল মাজি। আজ হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে তিনি বলেন, “এটা তো হওয়ার কথা ছিল। আমরা তো চাইছিলাম, তাড়াতাড়ি নির্বাচনটা ঘোষণা করা হোক। আমরা নির্বাচন শুরু করার পর বিরোধীরা হারার ভয়ে আদালতে গিয়েছিল। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম কবে নির্বাচন শুরু করা যাবে।”
হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের তরফে বলা হয়, প্রথম থেকেই পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে সরব ছিল তারা। সমস্ত তথ্য প্রমাণ তারা আদালত ও অন্যান্য সব জায়গায় জমা দিয়েছে।