Rural Development: পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামোন্নয়নে ৭১৪.৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ নবান্নের

Panchayet Election 2023: বঙ্গে এখন শাসক-বিরোধী সবার পাখির চোখ পঞ্চায়েত ভোট। আর সেই ভোটের আগে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না রাজ্য সরকার। মোটা অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে নবান্নের থেকে।

Rural Development: পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামোন্নয়নে ৭১৪.৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ নবান্নের
ভোটমুখী বাংলায় গ্রামোন্নয়নে আরও নজর সরকারের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 08, 2022 | 4:59 PM

কলকাতা: বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। ভোটের দামামা ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে। শাসক-বিরোধী সব পক্ষই সভা-সমাবেশ শুরু করে দিয়েছে। চলছে পঞ্চায়েতের রণকৌশল তৈরির পালা। ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। বঙ্গে এখন শাসক-বিরোধী সবার পাখির চোখ পঞ্চায়েত ভোট। আর সেই ভোটের আগে গ্রামীণ পরিকাঠামো (Rural Development) উন্নয়নে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না রাজ্য সরকার। মোটা অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে নবান্নের থেকে। গ্রামীণ পরিকাঠামোর জন্য ৭১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এর মধ্যে কেবল পঞ্চায়েত দফতরকেই (Panchayat Department) সরাসরি ৩০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি বরাদ্দ অর্থ খরচ করা হবে অন্যান্য দফতরের মাধ্যমে। একথা জানিয়েছেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ নারায়ণ মজুমদার।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই আর্থিক বরাদ্দ রাজ্য সরকারের দিকে পাল্লা কতটা ভারী, সেই দিকেই নজর রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের। রাজ্যে যখন একের পর এক বেনিয়মের অভিযোগ উঠছে, বিরোধী দলগুলি পঞ্চায়েত স্তরেও বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে অভিযোগ তুলছে… ঠিক সেই সময় নবান্ন থেকে এই বিশাল অঙ্কের আর্থিক বরাদ্দ স্বাভাবিকেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

উল্লেখ্য, রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (আরআইডিএফ)-এর তহবিল থেকে রাজ্যের ১৩টি দফতরের জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ নারায়ণ মজুমদার জানিয়েছেন। গ্রামীণ এলাকায় রাস্তা নির্মাণ ও সড়ক সংস্কারের জন্য মূলত ওই টাকা খরচ করবে পঞ্চায়েত দফতর। এখানে উল্লেখ করে রাখা প্রয়োজন, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের জন্য ইতিপূর্বেই ৫৮৪ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্যকে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১৫০০ কোটি টাকা পাওয়ার কথা রাজ্য সরকারের। ‌

পঞ্চায়েতের বিভিন্ন স্তরে যখন বিরোধীরা বেনিয়মের অভিযোগ তুলছে, তখন সেই পঞ্চায়েত স্তরের ভোটব্যাঙ্কের উপর যাতে কোনও বিরূপ প্রভাব না পড়ে না নিশ্চিত করতে ব্যস্ত শাসক শিবির। তাই ভোটমুখী বাংলায় গ্রামোন্নয়নের জন্য এই বিশাল বরাদ্দ বলেই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির কারবারিরা।