Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

DA Agitation: ধর্মঘটে ডিউটিতে না এলেই ‘ব্রেক ইন সার্ভিস’! কড়া অবস্থান নবান্নের

DA Protest: আগামিকাল কোনও কর্মচারী ক্যাজুয়াল লিভ বা অন্য কোনও ধরনের ছুটি নিতে পারবেন না। এমনকী কেউ হাফ ডে ছুটিও নিতে পারবেন না।

DA Agitation: ধর্মঘটে ডিউটিতে না এলেই 'ব্রেক ইন সার্ভিস'! কড়া অবস্থান নবান্নের
ডিএ আন্দোলন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 09, 2023 | 5:05 PM

কলকাতা: বকেয়া ডিএর দাবিতে (DA Agitation) শুক্রবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মচারীদের (Strike of Government Employees) একাধিক সংগঠন। আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে বিজেপি শিবিরও। বামপন্থী সংগঠনগুলি শুরু থেকেই পাশে রয়েছে আন্দোলনকারীদের। এদিকে ধর্মঘট ব্যর্থ করতে পাল্টা আসরে নেমেছে তৃণমূলপন্থী সংগঠনগুলিও। এমন এক আবহের মধ্যে এবার ধর্মঘটের আগে কড়া অবস্থান রাজ্যে সরকারের। নবান্ন থেকে কড়া ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামিকাল সমস্ত সরকারি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলা রাখতে হবে এবং প্রত্যেক কর্মচারীকে কাজে যোগ দিতে হবে। আগামিকাল কোনও কর্মচারী ক্যাজুয়াল লিভ বা অন্য কোনও ধরনের ছুটি নিতে পারবেন না। এমনকী কেউ হাফ ডে ছুটিও নিতে পারবেন না। ১০ মার্চ প্রত্যেক সরকারী কর্মচারীকে গোটা দিন ডিউটিতে থাকতে হবে।

যদি কোনও সরকারি কর্মচারী আগামিকাল অফিসে কাজে যোগ না দেন, তাহলে তা ডায়েস নন বা ব্রেক ইন সার্ভিস হিসেবে গণ্য হবে বলে কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন। যদি কেউ ছুটি নেন, তাহলে ওই সরকারি কর্মচারীর বেতন কাটা যাবে। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের ছুটির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। কোনও সরকারি কর্মচারী যদি হাসপাতালে ভর্তি থাকেন, বা যদি তাঁর পরিবারে শোকের কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে ওই সরকারি কর্মচারীকে ছাড় দেওয়া হবে। পাশাপাশি যদি কেউ ৯ তারিখের আগে থেকে গুরুতর কোনও শারীরিক অসুস্থতার কারণে অফিসে অনুপস্থিত থাকেন তাঁদেরও ছাড় দেওঔয়া হয়েছে। এছাড়া ৯ তারিখের আগে অনুমোদন পাওয়া কোনও চাইল্ড কেয়ার লিভ, ম্যাটারনিটি লিভ, মেডিক্যাল লিভ বা আর্নড লিভও এই কড়াকড়ির আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।

এর বাইরে অন্য কোনও কারণে কোনও কর্মচারী আগামিকাল ডিউটিতে অনুপস্থিত থাকলে, তাঁদের শোকজ নোটিস ধরানো হবে। জবাব সন্তোষজনক না হলে, সেটিকে ডায়াস নন বা ব্রেক ইন সার্ভিস হিসেবে গণ্য হবে এবং ওই দিনের বেতন কাটা যাবে। আর যাঁরা শোকজ নোটিসের জবাব দেবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যদিও যৌথ মঞ্চের কর্মচারীরা জানাচ্ছেন, ডায়াস নন আর ব্রেক ইম সার্ভিস এক বিষয় নয়। ডায়াস নন এর সঙ্গে বন্ধনীতে ব্রেক ইন সার্ভিস লেখা সঠিক নয় বলেই দাবি তাঁদের। সরকার এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভয় দেখানোর জন্য করেছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের।