Water-logged Kolkata: নির্বাচনী এলাকায় যেন জল না জমে, পুরসভা ও প্রশাসনকে কড়া নজর রাখতে বলল নবান্ন
Heavy rain in Kolkata: সেখানেই তাঁর কড়া নির্দেশ, সব বিদ্যুতের খুঁটি যেন ঢাকা থাকে। কোনও ইলেকট্রিকের তার যেন খোলা অবস্থায় বাইরে না থাকে।
কলকাতা: জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক মৃত্যু কপালে ভাঁজ ফেলেছে রাজ্য সরকারের (WB Govt)। তবে বিপদ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। রবিবারই ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলে ধাক্কা মারবে ঘূর্ণিঝড় গুলাব (Cyclone Gulab)। যার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর আবার জোড়া ঘূর্ণাবর্তও অপেক্ষা করে আছে। ঘূর্ণিঝড় কেটে গেলেই আগমন হবে তাদের। সব মিলিয়ে প্রাকৃতিক খামখেয়ালিপনার দরজায় দাঁড়িয়ে বাংলা (West Bengal)। তাই নতুন গাফিলতি যাতে ন্যূনতম করা যায়, সেই চেষ্টাতেই শনিবার নবান্নে (Nabanna) এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
বৈঠকে হাজির ছিলেন সিইএসসি (CESC) এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের (WBSEB) সদস্যরা। দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাশাসকদেরও ওই বৈঠকে সঙ্গে নিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। সেখানেই তাঁর কড়া নির্দেশ, সব বিদ্যুতের খুঁটি যেন ঢাকা থাকে। কোনও ইলেকট্রিকের তার যেন খোলা অবস্থায় বাইরে না থাকে।
আগামী ২৮ ও ২৯ তারিখ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এরই মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর, জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জে নির্বাচন আছে। বৃষ্টি হলেও যাতে কোনও ভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সমস্যা না হয়, তার জন্য ডিসিআরসি সেন্টার থেকে ট্যাগিংয়ের কোনও সমস্যা না হয় সেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। এখানেই শেষ নয়, নির্বাচনী এলাকাগুলোতে যাতে কোনও ভাবেই জল না জমে তার জন্য পুরসভাগুলিকেও বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, যেখানে যেখানে দ্রুত উদ্ধারকার্যের প্রয়োজন পড়বে তা দ্রুতগতিতে করতে হবে। আগামী ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর যে সময় দুর্যোগ আসার সম্ভাবনা রয়েছে, সেই সময় তারিখ সবাইকে এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।
মুখ্যসচিব জানান, ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর বেশ কয়েকটি দল উপকূলবর্তী কয়েকটি জেলায় আমরা মোতায়েন করা হয়েছে। বিপসঙ্কুল এলাকায় থাকা পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। পুলিশ, পূর্ত দফতর, দমকল দফতর, সবাই এক জায়গায় থেকে কাজ করবেন।
সবকটি দল একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করছে কিনা, সেই বিষয়টি জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারদের নজরে রাখতে হবে বলে জানান রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। যদি কোনও ধরনের অঘটন ঘটে, সে ক্ষেত্রে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে নবান্নর পক্ষ থেকে। সব মিলিয়ে বিপর্যয়ের পূর্বাভাস পেয়েই এ বার চূড়ান্ত প্রস্তুতি সেরে রেখেছে রাজ্য সরকার। এবার দুর্যোগ মোকাবিলায় তা আদৌ কার্যকর হয় কিনা সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন : Train Cancelled : গুলাবের আগে বাড়তি সতর্কতা, বাতিল ২৮ টি দূরপাল্লার ট্রেন